✸ এখানে প্রত্যেকটি বইয়ের পরিচিতি দেখুন
✸ লিংকে গিয়ে বইটি পড়ে দেখুন
✸ বাসায় বসে পেতে অর্ডার করুন
✸ ফেইসবুকে আলোচনা করুন
আর্টস না সায়েন্স |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
পোশাকি জীবনে আর্টস না সায়েন্স এই প্রশ্নটি এমনভাবে আসে যেন উত্তর “হয় এটি নয় ওটি” ওভাবেই হতে বাধ্য- অর্থাৎ আর্টস নিয়ে পড়েছি, না সায়েন্স নিয়ে পড়েছি। কিন্তু মননের জগতে এ প্রশ্ন ওই অর্থে আসে না। প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত আর্টসের-সায়েন্সের মিলিত প্রেরণাতেই গড়ে উঠতে পেরেছে সব মানুষের বিশ্ব-দৃষ্টি। ওভাবেই সৃষ্ট বহু চমকপ্রদ সৃজন-কীর্তিকে তুলে ধরা এই বইকে বলা যায় নানা আর্টস আর বিজ্ঞানের একটি মিলিত ঘনিষ্ঠ আলাপ-পরিচিতি, যার অনেকগুলো সব সাধারণ মানুষের জীবনের ছোট ছোট সখের মধ্যেও থাকে। |
যা অভিনবত্বের চমকে মনকে নাড়া দিয়ে গতানুগতিকতার থেকে বের করে আনে সেটিই তো আর্ট- দেখার আর্ট শোনার আর্ট পড়ার আর্ট ইত্যাদি। তার প্রতেকটিতেই আমরা নান্দনিকতার প্রত্যাশী, আর সেটিই আমরা পাই। কিন্তু প্রায়ই কোনো কোনোটি আবার নান্দনিকতাকে ব্যাহত করে বিষণ্ণ বা প্রতিবাদী ধাক্কা দেয়- সেটিও আর্ট হিসেবে কম গ্রাহ্য নয়। এই সবের অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আর্ট এসব করতে পারছে তার মধ্যে থাকা বিজ্ঞানময়তার কারণে, কারণ বিজ্ঞান নিজেই অভিনবত্ব ও রোমান্সের বড় আকর। এটি ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো খুব উন্নত বিজ্ঞান-প্রযুক্তির কারণে আজকেই শুধু সম্ভব হচ্ছে তা মোটেই নয়, এ চিরকালই সৃজনশীল মানুষের সহজাত। অভিযাত্রার যুগের পালতোলা জাহাজী সংস্কৃতিতে এ যেমন ওতোপ্রোতো ভাবে মিশে ছিল, তেমনি ছিল রেনেসাঁ -পরবর্তী মাস্টার আর্টের মধ্যে, এবং আরো অনেক প্রাচীন কালেও। বর্তমান প্রবণতাগুলো দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে যে আর্ট-সায়েন্স উভয়টিতে নিজেই দারণ সৃষ্টিশীল হয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের একেবারে অংগীভূত হয়ে যাবে খুব শিগগির, জীবন-জীবিকাকে আমূল বদলে দেবে। এই সবেই প্রেরণা উভয় দিক থেকেই বরাবর প্রবহিত হয়েছে; আর্ট- চেতনা বিজ্ঞানের কোনো কোনো মর্মকথাকে বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কে ঝিলিক দিয়ে আসতে সহায়ক হয়েছে। এই দুইয়ের মধ্যে ভেদ-রেখাহীন যাতায়াতের সুযোগগুলো বিচিত্র সব উদাহরণের সাহায্যে দেখিয়েছে এই বই; যা বিজ্ঞানকে বুঝতে যেমন সাহায্য করবে তেমনি আর্টকে বুঝতেও – এমনটি আশা করা যায়।
বিজ্ঞান নামের |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
বিজ্ঞান ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মৌলিক কণিকাকে সব কিছুর ভিত্তি করে তাকে বুঝতে কোয়ান্টাম আচরণ আবিষ্কার করে। আবার মহাবিশ্বের চরম সমগ্রতার মধ্যে দেখে আপেক্ষিক তত্ত্বের জোরালো প্রকাশ। জীবন রহস্যকে ভেদ করতে তার বিশ্লেষণে আবিষ্কার করে জিন। তত্ত্ব ও পরীক্ষার এসব নানা গল্পের মধ্য দিয়ে এই বই বিজ্ঞানের মহাকাব্যিক রূপটি তুলে ধরে। |
বিজ্ঞান নিশ্চয় কোনো কবিতা নয় , কিংবা পাঠকের হৃদয় উদ্বেলিত করা কোনো কাহিনী নয় ; তারপরও কিছু অর্থে এটি মহাকাব্যিক। বিজ্ঞানের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্টগুলোকে সামনে আনার জন্যই এই বইয়ে বিজ্ঞানকে মহাকাব্য বলা। আমরা প্রায়ই কোনো একটি দিকে বিজ্ঞানের একটি কৃতিত্ব বিচ্ছিন্নভাবে দেখে মুগ্ধ হই। অনেক সময় বিজ্ঞানকে দেখার জন্য অপেক্ষাও করিনা , ওটি যেই প্রযুক্তি আমাদেরকে দিয়েছে তাতেই চমৎকৃত হয়ে ওকেই বিজ্ঞান মনে করি । এমন খণ্ডিত ছবি কিন্তু বিজ্ঞানের আসল পরিচয় দেয়না । আসল ছবি পাই যখন সামগ্রিক ভাবে তাকে দেখি। মনে হয়েছে তখনই বিজ্ঞানের মহাকাব্যিক রূপগুলোও ধরা পড়ে । সাহিত্যের কাব্য ও কাহিনী মহাকাব্য হয়ে ওঠে তার ব্যাপ্তি ও বিশালত্বের জন্য – বড় মানুষ, বড় নীতি , বড় সাধনা, বড় যুদ্ধ, বড় অর্জন এসব, অবশ্য বড় হতাশা , বড় ট্রাজেডির জন্যও বটে। বিজ্ঞানেরও সামগ্রিক গল্পটি অসম্ভব রকম ব্যাপ্ত – অনেক বড়োকে নিয়ে , আরো সঠিকভাবে বললে পরমকে নিয়ে। এই পরম নানান দিকে নানা মাত্রা নেয় , যার প্রত্যেকটি সে দিকের গভীর থেকে গভীরে যাচ্ছে। ”সবকিছু” যা দিয়ে গড়া সেই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরম কণিকা তার একটি দিক -ক্রমাগত দেখছে তার ভেতর আরো পরম কী। মস্তিষ্কের ভেতর চিন্তা গড়া যে নিউরোনের স্ফুরণে , তারও আরো গভীরের পরম কী ? এই উভয়ের বা এরকম আরো সব দিকের মধ্যে উপাদান একই ,পরস্পর সাংঘর্ষিক কিছু থাকতে পারেনা । শুধু তা নয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রের ঠিক বিপরীত দিকের পরম – অকল্পনীয় বিশাল মহাবিশ্বের মধ্যেও ওই পরম ক্ষুদ্রের একই উপাদান ও কাজ। ওই ”সব কিছু” এর মধ্যেই ধারণ করা। এই বিশাল পরমও ক্রমে গভীরতর হচ্ছে – অর্থাৎ মহাবিশ্ব প্রসারিত হয়ে চলেছে। এর বাইরে যখন স্থান বা কাল কিছুই নেই তা হলে এটি প্রসারিত হবে কার মধ্যে , নিজের মধ্যে ছাড়া বৈ নয়। সেও এক পরমের ব্যাপার , নিজেই নিজের মধ্যে , কোনো কিনারাবিহীন । একেবারেই ভিন্ন অদ্ভুত এক মাত্রা নিয়ে আসা জীবনের রহস্যও পরমের আরেক দিক – এও শেষ পর্যন্ত ওই অণুতেই উদ্ঘাটিত , অনু-জীববিদ্যার ডি এন এ তে । এভাবেই পরস্পর সাযুজ্যপূর্ণ সকল পরমকে নিয়ে বিজ্ঞানের একই একটানা মহাকাব্য। অন্য সবগুলোর থেকে ব্যতিক্রমী এই মহাকাব্য কিন্তু কড়ায় গন্ডায় বাস্তবতাকে নিয়ে, বাস্তবতার পরীক্ষা দিয়ে তবেই আসতে পেরেছে । ওটি ঘটেছে মস্তিস্কজাত তত্ত্ব আর বাস্তব পরীক্ষার ক্রমাগত এক আলাপের মধ্য দিয়ে -সংগীতের যুগলবন্দীর মতো। আধুনিক বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি কাজের অনেক রকমের উদাহরণ দিয়ে এই বই এসব ব্যাখ্যা করেছে। প্রায় ব্যতিক্রমহীনভাবে সাফল্যই বিজ্ঞানের গল্পকে এতটা ব্যতিক্রমী করেছে। প্রকৃতি অসম্ভব জটিল ও অবোধ্য , মহাকাব্যের রচয়িতা বিজ্ঞানীরাই আপন মস্তিষ্কের ঝড়ে ওর ভেতর থেকে সরল সুন্দর নিয়ম নিংড়ে আনেন যা একেবারে বাস্তব ঘটনাগুলোর হুবহু ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে । নিজের দুঃসাহসী সব কল্পনা থেকে শুরু করা সত্ত্বেও তাঁরা ওগুলোকে নিয়েই এমন অল্প কিছু ”মাস্টার চাবি ”(তত্ত্ব হিসেবে) আবিষ্কার করেন যেই একই চাবি দিয়ে প্রকৃতির শত দরজা খুলতে পারেন। সেখানকার রহস্য তখন বাস্তব ধরাছোয়ার যোগ্য হয়ে সামনে এসে দাঁড়ায় , তার ওপারে আরো রহস্যের বর্ণাঢ্যতা দেখা যায় । তখন কি আর ওই চাবির উপাদান অদৃশ্য জিনিসগুলোর সত্যতায় কোনো সন্দেহ করা যায়- ওই কণিকা, তরঙ্গ, চার্জ , জিন ওইসবকে ? সাহিত্যের মহাকাব্য মানুষকে ব্যাপ্ত করে , বড় চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে, আটপৌরে জীবনের মধ্যেও সাধারণ মানুষও সুর করে পড়া এর কাহিনী উপভোগ করেন। বিজ্ঞান সেটি বাস্তবে দেখিয়ে দিয়ে আরো সফলভাবে করতে পারে । নানা উদাহরণে এই বই এ কথাগুলোই বলার চেষ্টা করেছে ।
মানুষ আমরা |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
“মানুষ আমরা”-এটি মানুষের বৈজ্ঞানিক নামের প্রকারান্তর|বিজ্ঞান বলছে, অভিজ্ঞতা বলছে, বিশ্ব-মানুষটি একই মানুষ আমাদের বিশ্বদৃষ্টিকে সেই এক মানুষ-এক বিশ্বে নিবদ্ধ করলে হয়তো আজকের অস্তিত্বের সংকট এড়িয়ে সব মানুষ তার যোগ্য মর্যাদায় পৌঁছবে। |
একই জেনেটিক লটারির বন্টনে সব রকমের সম্ভাবনাই সব দেশের সব গোষ্ঠীর সব মানুষ পায়। সে সবের বিকাশ কতটা হবে সেটি শৈশবে মা ও পরিবারের সান্নিধ্যের সুযোগের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। উচ্চ শিক্ষা বিশ্বদৃষ্টির শিক্ষা না হয়ে বাজারি শিক্ষাতে পরিণত হওয়া আজ সারা দুনিয়ার সমস্যা। আর্টস-সায়েন্সে দুই সংস্কৃতিতে বিভক্ত হলে, চতুর্মুখি বিশ্বদৃষ্টি কীভাবে পাবো? লেখক বরং তাঁর অভিজ্ঞতায় স্বাধীন সৌখিন নাগরিক মানুষের বিজ্ঞান, ইতিহাস,পরিবেশ, জনকল্যাণ ইত্যাদির চর্চার মধ্যেই সৌন্দর্য দেখেছেন। বিশেষজ্ঞ ও স্বেচ্ছাসেবী উভয়ের যোগ হলে চর্চা বিস্তৃত হতে পারে। আজ কোভিড , জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়ন্ত্রিত কৃত্ৰিম বুদ্ধিমত্তা আমাদেরকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলেছে, একেবারে গায়ের ওপর এসে পড়ে তা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে সবাই বাঁচলে তবে নিজে বাঁচবো। সবাই বাঁচার একটাই পথ – বিশ্ব-মানুষের সমঝোতা। লেখকের মতে সেটি আসতে হবে মৌলিক মানবিক মূল্যবোধে গড়া ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব ইউনিয়নের রূপে, অনেকটা আজকের ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদলে, বাধ্যবাধকতাহীন সীমিত কার্যকারিতার জাতিসংঘের আদলে নয়।
শিকড় |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটি সম্পর্কে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস লিখেছেন:
“মোটেই বুঝতে পারিনি যে বইটি আমাকে একেবারে মাতিয়ে তুলবে। বইটি কিছুতেই হাত থেকে ছাড়তে পারছিলামনা। ছোটবেলায় রহস্য উপন্যাসে যে রকম মজে যেতাম শিকড় পড়তে গিয়ে আবার সেই আমেজ ফিরে পেলাম। আগ্রহের এমন উত্তেজনা নিয়ে কোন বই পড়েছি এমন ঘটনা গত বহু বছরের মধ্যে ঘটেছে বলে মনে আসছেনা ; শিকড় পড়ার সময় কোনো সময় মনে হয়নি আমি কোন গবেষণামূলক বই পড়ছি। সব সময় মনে হচ্ছিলো আমি দীর্ঘপথ ধরে আমার পারিবারিক পরিক্রমার কাহিনী পড়ছি .. মানুষের অভিবাসন নিয়ে লেখা বই পড়তে গিয়ে কারো চোখে পানি এসে যাবে এরকম কোনদিন কল্পনা করিনি।..
বইটি একটি গবেষণা গ্রন্থ, এতে এমন কিছু নেই যাকে বৈজ্ঞানিক ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হয়নি, তথ্যের দিক থেকে এ এক ঠাস-বুনোট বই। অথচ লেখক একে পরিবেশন করেছেন ভ্রমণকাহিনীর সাবলীলতা দিয়ে যা তরতর করে পাঠককে এগিয়ে নিয়ে যায়।
.. ড. ইব্রাহীমকে ধন্যবাদ এই বই লেখার জন্য, আমার মত অনেককে নতুন দৃষ্টি ভঙ্গি দেয়ার জন্য। প্রত্যেকে নিজে পড়লে এবং ছেলে-মেয়, নাতি-নাতনীদেরকে পড়তে উৎসাহিত করলে, এবং তাদের সঙ্গে বিষয়গুলো আলাপ করলে সবাই উপকৃত হবেন ও আনন্দ পাবেন বলে মনে করি।
বইটির পরিচিতি
আমরা আজ নানা জন নানা দেশে। কিন্তু আমাদের সবার শিকড় অতীতে এক এক জায়গায় পরস্পরের সঙ্গে মিশেছে। নিজের বহু অভিবাসনের মাধ্যমে মানুষ নিজেই এই শিকড়ের প্রবাহগুলোকে নানা গন্তব্যে নিয়ে গিয়েছে। এটি সেই চির-অভিবাসীদের কাহিনী। |
মানুষের জীবনকালটি ছোট, কিন্তু মানব জাতির ধারাবাহিকতাটি অনেক বড়। আমরা এই ধারাবাহিকতার মধ্যে আমাদের শিকড়কে সন্ধান করি। এই বইয়ে সেই শিকড়কে আমরা আমরা চলে যেতে দিয়েছি অনেক গভীরে, আমাদের একেবারে আদি পূর্বপুরুষদের জগতে। সেখান থেকে শুরু করে এ শিকড় নানা কাল ধরে, নানা দেশ ঘুরে, আমাদেরকে রস যুগিয়েছে– জিন, জীবনধারা আর ভাষার প্রবাহে। জিন প্রবাহিত হয়েছে বাবা-মা থেকে সন্তানে; জীবনধারা এক ভাবে শিক্ষক থেকে ছাত্রে; আর ভাষা মানুষে মানুষে কথোপকথনে। এই সবকটি প্রবাহের গতিপথের ছবি পাওয়া যাবে এই বইতে। এই গতিপথের একটি গন্তব্য আমাদের দেশ; বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও তার আশপাশের জায়গা। চট্টগ্রামকে এখানে মানব প্রবাহের হাজারো গন্তব্যের একটি প্রতিনিধি হিসেবে নেয়া হয়েছে, এর সঙ্গে লেখকের অন্তরঙ্গ পরিচয়ের কারণে । তার ভাষা, তার সংস্কৃতি, এবং তার ঝলোমলো দিনের ইতিহাস– এই সব স্বকীয়তা নিয়ে এই গন্তব্য। শিকড়ের গল্পটি এমন যে সে বহু কাল বহু দেশ হয়ে এসে আজকের আমাদের যে কারো অনুভূতিতে হিল্লোল তুলতে পারবে।
কোয়ান্টাম |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
অণু পরমাণুর মত ক্ষুদ্র জিনিসের আচরণ একমাত্র কোয়ান্টাম তত্ত্ব দিয়েই বোঝা যায়। অথচ এই তত্ত্ব আমাদের সাধারণ নিয়ম মানেনা, ও বড়ই আজব। |
এটমের থেকেও অনেক ক্ষুদ্র যে ইলেকট্রন কণিকা তার একটি ছুটে যাচ্ছে, তার সামনে পাশাপাশি দুটি সরু ফাটল। ফাটলের ভেতর দিয়ে পার হয়ে ইলেকট্রনটি আঘাত করলো একটি সংবেদী পর্দাতে যাতে ইলেকট্রনের আঘাত আলোর ফোটা সৃষ্টি করে। দেখা গেলো ইলেকট্রনটি পর্দায় পর পর আলো আর আঁধারের একটি ঝালর সৃষ্টি করলো- শুধু একটি ফোটা সৃষ্টি করার বদলে। এ এক আজব ব্যাপার। বস্তুর কোন কণিকা তো এরকম করতে পারেনা, একমাত্র তরঙ্গই পারে একই সঙ্গে দুই ফাটলের মধ্য দিয়ে গিয়ে এমন ঝালর সৃষ্টি করতে। ইলেকট্রন তাহলে একটি তরঙ্গও বটে, বস্তু তরঙ্গ! এ তরঙ্গে কোন জিনিসটি ওঠানামা করে? না তাতে আমাদের পরিচিত কিছু ওঠানামা করেনা; বরং এটি সম্ভাবনার উঠানামা, একটি গাণিতিক তরঙ্গ মাত্র। ইলেকট্রনটি পর্দার কোন্ জায়গায় গিয়ে পড়ার সম্ভাবনা কতখানি সেটিই এটি সেটিই প্রকাশ করে। এমনি ঘটনা যে তত্ত্ব সৃষ্টি করলো সেটিই কোয়ান্টাম তত্ত্ব। এ তত্ত্ব শুধু সম্ভাবনার কথা বলে বটে, কিন্তু তা বাস্তবের সঙ্গে নিখুঁত ভাবে মিলে যায়। খুব সহজ ভাবে পদার্থবিদ্যার এই কেন্দ্রীয় তত্ত্বটিকে বুঝিয়ে দিচ্ছে এই বই। ব্যাখ্যা করছে পুরো কোয়ান্টাম জগতটাকেই।
The Wonderland of Quantum Theory |
Please click here to read the book
Click here to order the book
An Introduction to the book
Extremely tiny things such as an atom or a molecule or an electron can only be understood in the light of Quantum Theory. But strangely, the theory goes contrary to our normal way of thinking. This makes the world of such tiny things a wonderland indeed. |
One can arrange a stream of electrons approach two very thin slits side by side. Electrons are one of the tiniest particles possible, and these slits have just enough width to let them through. We would expect that an electron would go through one of the slits and create a speck of light where it strikes on a sensitive screen in front. But surprise, surprise, instead it creates a whole series of bright and dark lines adjacent to each other. This latter can happen only if the electron is a wave going through both the slits at the same time , and then superposing on each other. We have to conclude that electron is both a matter particle and a wave, something that we cannot comprehend in our normal senses. But such matter wave indicating the probabilities of the state of the particle is not only normal in quantum theory, but also it predicts all the practical properties of the particle in an extremely precise way, and so do the other strange ways of quantum theory. Welcome to the Wonderland!
বিজ্ঞান জিনিসটি কী? |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পুস্তক সমালোচনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা ড.সালমা বিনতে শফিকের মন্তব্য:
” ঝরঝরে সাহিত্যের মতো সুখপাঠ্য ভূমিকা শেষে সূচিপত্র দেখে বিষয়বস্তু আরো পরিষ্কার — বিজ্ঞান একেবারেই মানবিক। ..সহজ গল্প বলার ঢঙে বলে যান লেখক বিজ্ঞানের আসল স্বরূপের কথা. .. তার ভবিষ্যৎবাণীর ক্ষমতাই বিজ্ঞানের আসল সাফল্য। বার বার অসংখ্যবার যখন সব ক্ষেত্রে এই ভবিষ্যৎবাণী ফলে যায় তখনি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় বিজ্ঞানের কোনো নীতি , সবার দারুন আস্থা সৃষ্টি হয় তার ওপরে, বিজ্ঞানের ওপরে। বইয়ের শেষ অধ্যায়ে লেখক উনিশশো সত্তরে এপোলো ১৩ এর চন্দ্র অভিযানের সময় যান্ত্রিক গোলযোগ ও বিস্ফোরণের পর মূল রকেট, জ্বালানি , নিশ্বাস নেবার অক্সিজেন , কম্পিউটার সব কিছু হারিয়ে ফেলার পরও তাৎক্ষনিক হিসেবনিকেশ করে বিকল্প পরিকল্পনায় তিন মহাকাশচারীর পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা দিয়েছেন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো তিনশো বছর আগে নিউটনের বাতলে দেয়া গতিসূত্রই তিন নভোচারীকে ফিরিয়ে আনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। .. আলোচ্য গ্রন্থটিতে ইতিহাসের স্বাদ , গন্ধ ও আমেজ পাওয়া যায়। একজন পদার্থ বিজ্ঞানীর রচনা হলেও ইতিহাস তথা মানববিদ্যার যে কোনো শাখার শিক্ষার্থীর পাঠ্য হতে পারে আলোচ্য গ্রন্থটি।
বইটির পরিচিতি
বিজ্ঞান শুধু প্রযুক্তিকে পরীক্ষা করে পাওয়া যায় এ কথা ঠিক নয়। এর অনেক খানি আসে বিজ্ঞানীর মস্তিষ্ক থেকে। সে ভাবে আসাকে বলা যায় ভেবে জানা। অবশ্য পরে প্রকৃতির সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখেও জানতে হয়। |
বিজ্ঞানী কী ভাবে বিজ্ঞানকে সৃষ্টি করেন তা দেখলেই বিজ্ঞান জিনিসটি আসলে কী তা ঠিক ভাবে বোঝা যায়। বিজ্ঞানীর বিজ্ঞান সৃষ্টির কাজ আদিকাল থেকেই চল্ছে। এই বইয়ে প্রমাণ দেয়া হয়েছে যে বিজ্ঞান মানুষেরই সমবয়সী, আর সে বিজ্ঞান প্রধানত প্রকৃতির মধ্যে নয় বরং বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কেই তৈরি হয়েছে। একটি আনুমানিক তত্ত্ব তাঁরা ভেবে বের করেন, তারপর হাতে কলমে পরীক্ষা করে দেখেন সেই তত্ত্বটি কাজ করে কিনা। যদি কাজ না করে তাহলে আরেকটি আনুমানিক তত্ত্ব দিয়ে চেষ্টা করেন। এর অনেকগুলো উদাহরণ দিয়ে এ বই দেখিয়েছে বিজ্ঞানী কী ভাবে এই পদ্ধতিতে প্রকৃতির বিশ্বাসযোগ্য ছবিটি বের করে আনেন। এসব কৌশল একদিনে সৃষ্টি হয়নি। বিজ্ঞানের ইতিহাস যেমন বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সৃষ্টির কাহিনী বলে, তেমনি সে তত্ত্বের আবিষ্কারের পদ্ধতিগুলো কী ভাবে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে সে কথাও বলে। কয়েক হাজার বছর ধরে চলা সেই বিকাশটি এ বই তুলে ধরেছে জগত-জীবন সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টে দেয়া অনেক আবিষ্কারের উদাহরণ দিয়ে।
বিজ্ঞান জিনিসটি কী? |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
প্রকৃতি খুবই জটিল, বিজ্ঞান তাকে সরল করে দেখিয়েছে। এ কাজে বিজ্ঞানের একটি কৌশল হলো প্রকৃতির গাণিতিক মডেল খাড়া করা। এর মধ্যে যে সব অদৃশ্য জিনিস বিজ্ঞানী কল্পনা করেন সেগুলোর বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেসব প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই এ বই দেখাবার চেষ্টা করে বিজ্ঞান জিনিসটি আসলে কী। |
মানুষের মস্তিষ্ক সরল জিনিস পছন্দ করে, তাই বিজ্ঞানী জটিল প্রকৃতির সরল ছবি নিংড়ে আনেন। এ কাজে যে গণিত তাকে সাহায্য করে তা কিন্তু বিজ্ঞানের জিনিসের মত নয়; তা হলে গণিতের জিনিসগুলো কী রকম? মানুষের মস্তিষ্কে সৃষ্টি হওয়া এই গণিত বাইরের প্রকৃতির কথা বলে কী ভাবে? এ এক অত্যাশ্চর্য ব্যাপার। এসব প্রশ্নের নানামুখী জবাব নিয়ে এই বই। বিজ্ঞানী ইলেকট্রন, এটম, রেডিয়ো তরঙ্গ ইত্যাদি অদৃশ্য জিনিস দিয়ে প্রকৃতির ছবি গড়েন। আমরা চেয়ার-টেবিলকে যে অর্থে বাস্তব বলি এই ইলেকট্রন ইত্যাদিও কি ওরকম বাস্তব? যদি না হয়, তা হলে বিজ্ঞানের বাস্তবতাটি কী রকম? সত্যিকার ক্ষেত্রে সে এতো সফলই বা হয় কী করে? এই বাস্তবতার প্রশ্নে না ঢুকে কেমন করে বুঝবো বিজ্ঞান জিনিসটি কী।
People and Science |
Please click here to read the book
Click here to order the book
An Introduction to the book
This is a memoir covering some forty years, that gives a detailed personal observation of the society, individuals and the country. But this forms only the backdrop of the author’s life-long fascination with science, and his actions to take science to the people. |
This is a memoir of Dr. Muhammad Ibrahim with an emphasis on the story how his childhood fascination with science grew into a life- long passion to take it to the people. We see here a child with his very own home laboratory, who starts a nationwide magazine in science while still in school. It narrates how he engages in the popularization of science through journalism, writings, programs in TV, science clubs, and an organization dedicated to this purpose. He invites the readers to the joys of the intricate details of these activities. In the background, the social and political upheavals in the country, as seen in the eyes of the author, himself a student leader, are quite breath-taking.
আমি কে? |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
প্রশ্নটি প্রাচীন, আমি আমার নিজেকে কতখানি চিনি। যুগে যুগে মানুষ নানা ভাবে এর উত্তর খুঁজেছে। আধুনিক ডিএনএ বিজ্ঞান, বিশেষ করে মানব জেনোম প্রকল্প, জিনের ভাষায় এর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছে। |
এক সময় মনে করা হতো আমার মস্তিষ্কটি পাইলটের সামনে কলকব্জার মতো মাত্র, পাইলট যেই আমি সে তার বাইরে কোথাও আছি। এখন বিজ্ঞান বল্ছে মস্তিষ্ক নিজেই পাইলট, আর সে সাদা খাতার মত শূন্য অবস্থায় আসেনি, পূর্বপুরুষের ডিএনএ’তে বহন করে আনা অনেক কিছু ইতোমধ্যেই তাতে আছে- ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা, নানা স্বকীয়তার অনেক কিছু। কোন কোন পরিবেশ অবশ্য সে সবের জন্য একটি ক্রান্তিকাল সৃষ্টি করে, যেমন শিশু গর্ভে থাকাকালীন মায়ের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা। ডিএনএ আর এমনি সব পরিবেশের আন্তক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট যেই আমি , তার একটি পরিচয় বইটি দেয়ার চেষ্টা করেছে। একেবারেই সাম্প্রতিক মানব জেনোম প্রকল্প দেখিয়েছে দুনিয়ার সব গোষ্ঠিতে ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদির ডিএনএ প্রবণতাগুলো একেবারেই ইতস্তত সমান ভাবে বন্টিত রয়েছে। প্রয়োজন শুধু সে সবের বিকাশের মত পরিবেশের।
মানুষের পায়ের আওয়াজ প্রাগৈতিহাসিক নানাজনের বিজ্ঞান ভিত্তিক গল্প প্রকাশক: অনন্যা ডিসকাউন্ট-পূর্ব মূল্য: ৬০০ টাকা ২০১৭ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
লুসি, সাজুনি, কড়ি এমনি এক একজন মানুষকে নিয়ে বেশ কিছু গল্প এতে। ওরা প্রত্যেকে বাস করেছে প্রাচীন এক এক কালে, এক এক দেশে। প্রত্যেকটি গল্প জানা গেছে প্রত্নতাত্ত্বিক নানা উদ্ঘাটনে। সবই প্রাগৈতিহাসিক। |
এই বইয়ে এক এক জনের নামটি বানিয়ে বলা, মানুষটিও কাল্পনিক চরিত্র; কিন্তু বাকি সব সত্য। প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা ওই প্রাচীন মানুষের জীবনকে যতটাই সত্য ভাবে তুলে আনতে পেরেছে, এই গল্প ততটাই সত্য। এমনি একটি গল্পে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লোম্বোস গুহায় কিছু সময়ের জন্য বাস করা সাজুনিকে–৭০ হাজার বছর আগের তরুণী। এই বইয়ে সাজুনি একা নয়, তার মত আরো ৩৫ জন মানুষের আলাদা আলাদা গল্প এখানে রয়েছে। সব থেকে আগের গল্প লুসির, ৩৫ লক্ষ বছর আগের; আর আমাদের কালের সব থেকে কাছের গল্পটি কড়ির, ৪০০ বছর আগের। ওরা এমন কালে এমন জায়গায় বাস করেছে সেখানে লিপি জিনিসটি ছিলনা, তাই ওদের সম্পর্কে লেখাজোকায় কিছু পাওয়া যায়নি। গল্পের জন্য তাই নির্ভর করতে হয়েছে তাদের জীবনের ফেলে যাওয়া নানা টুকিটাকির ওপর যা আজকের দিনে আবিষ্কৃত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা তাদের জীবন কাহিনী যতটা ওগুলো থেকে নিংড়ে নিতে পেরেছেন , তার ভিত্তিতেই গল্প। সেই নিংড়ে নেবার খুঁটিনাটি কৌশলগুলোও আলাদা ভাবে দেয়া হয়েছে প্রত্যেকটি গল্পের সঙ্গে। তবে ওদের প্রত্যেকে ছিল রক্ত- মাংসের জীবন্ত মানুষ, নিজের পরিবেশের বর্ণ-গন্ধের সঙ্গে এক হয়ে যাওয়া। সেই বহু হাজার বছর আগের জীবনকে ও পরিবেশকে পাঠক এখানে অনুভব করতে পারবেন, চলে যেতে পারবেন তাদের জীবনে।
জীবনস্মৃতিতে মানুষ প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটি সম্পর্কে জাতীয় অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দীন:
এটি একটি অসাধারণ সাহিত্য কর্ম। আত্মজীবনী হলেও গ্রন্থটিতে উঠে এসেছে সময়ের প্রকৃত প্রতিবিম্ব। তাতে ধরা পড়েছে বিচিত্র মানুষ, ক্রমে পরিবর্তনশীল সমাজ ও প্রকৃতি। মূলত একই সঙ্গে শহরে ও গ্রামীণ, সনাতন ও আধুনিক পরিবেশে বাস করে বিস্ময়ভরা চোখে একটি শিশুর বেড়ে উঠার কাহিনী ফুটে উঠেছে এই বইতে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শফিক হায়দার চৌধুরী:
বইটি একটি ইতিহাস গ্রন্থ, শুরুতে চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক ইতিহাস। এই ইতিহাস শুধু যে রাজনীতির ইতিহাস তাও নয়। রাজনৈতিক ঘটনাগুলো যেমন তাঁকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে তেমনি সোভিয়েত রাশিয়া যখন মানুষের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিককে মহাশুন্যে উৎক্ষেপন করলো তার উম্মাদনাও তাকে প্রবলভাবে মাতিয়ে তোলে।
‘দৈনিক যুগান্তরে’ পুস্তুক সমালোচনায় শহীদুল হক:
বইটি পড়ার সময় কখনো আমার মনে হয়নি যে একটি আত্মজীবনী পড়ছি। বরং মনে হয়েছে একটি অনবদ্য উপন্যাস আমাকে আকর্ষণ করে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ..তবে এটি কোন ধরণের উপন্যাস সে সম্পর্কে এক এক সময় এক এক রকম মনে হয়েছে। কখনো মনে হয়েছে আমি একটি সামাজিক উপন্যাস পড়ছি- এ যেন রীতিমত সমাজ বিবর্তনের একটি দর্পণ। আবার কখনো মনে হয়েছে এ আত্মজীবনী আসলে একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে বেশ কয়েক বছর আগে শেষ হলেও তার রেশ শিশু ইব্রাহীমের কাছে ধরা পড়েছে..। কাল্পনিক বিমান আক্রমণে গর্তে আশ্রয় নেয়ার জন্য শিশুদের ‘খেলায় গাড্ডামে ঢুকো’ চিৎকারেও যেন এই রেশ জীবন্ত হয়। সেদিনের বৃটিশবিরোধী গান এখনো সুরে ও কথায় লেখকের কাছে জীবন্ত, যেমন জীবন্ত ‘গান্ধী চিনির’ (গুড়), বদলে ‘জিন্নাহ চিনি’ (সাদা চিনি) খেতে শিশু ইব্রাহীমের বায়না।.. বইটি পড়তে গিয়ে যেন এক এক সময় আটকে গেছি এক একটি ছোট গল্পের মধ্যে। যেমন আনন্দ বেদনায় ভরা সুসংবদ্ধ একটি পরিবারের নানা ছবি যখন লেখক এঁকেছেন তখন তার কোন কোন ঘটনাকে ঘিরে এমটি মনে হয়েছে। বড়দের জন্য করা বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে বিজ্ঞানের প্রেমে পড়ে প্রাইমারী স্কুলের বালক। আর কখনো শেষ না হওয়া এই প্রেম কাহিনীটি আমাদের সঙ্গে খুবই অন্তরঙ্গভাবে শেয়ার করে গিয়ে লেখক এক দারুণ কাজ করেছেন- উপন্যাসের মত কাহিনীতে চমৎকারভাবে বিজ্ঞানের স্বাদ এনে দিয়েছেন। .. তিনি নিশ্চিত ভেবেছেন যে তাঁর কাছে দারুণ মজার বিজ্ঞানের কাজ ও ভাবনাগুলো আমাদের জন্যও মজার হবে, তিনি ভুল ভাবেননি। আসলে নানা স্বাদের হাজারো ঘটনার অনবদ্য বর্ণনাই এই আত্মজীবনীকে উপন্যাসের মত আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সেই সঙ্গে এটি দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিবর্তনের একটি মূল্যবান আখ্যান হিসেবেও আদর পাবে বলে বিশ্বাস করি।
বইটির পরিচিতি
কৈশোর-তারুণ্যের অভিজ্ঞতায় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ-পরবর্তী কাল থেকে আইয়ুব খান পর্যন্ত রাজনীতির একটি আলেখ্য, শিশুমনের সূক্ষ্ম সব অনুভূতি, বালকের বিদেশে ভ্রমণ কাহিনী, জমজমাট পারিবারিক হুল্লোড়, সবকিছুর মধ্যে এই বালকের সব থেকে বড় নেশা–বিজ্ঞান। |
অন্তরঙ্গ ঘরোয়া পরিবেশে বেড়ে উঠা শিশু সেদিনের সমাজ, রাজনীতি, এবং বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি ও ঘটনাকে যেভাবে দেখেছে, সেভাবে বহুকাল পরেও মনে রেখেছে, তা নিয়ে এই বই।
সব সময় বড়দের কাজে জড়িত থাকা, তাদের কথা গোগ্রাসে গেলার অভ্যাস তাকে রাজনৈতিক তর্ক, ফিল্মি গানের আসর, পারিবারিক ভাবে নাটক মঞ্চস্থ করা থেকে গঠনতন্ত্র বানিয়ে তরুণ সংঘ গড়ে তোলার মত ঘটনার অভিজ্ঞতা দিয়েছে। সেই সঙ্গে অদ্ভুত যে সব চরিত্র তার মনে দাগ কেটেছে তাদের সূক্ষ্ম চিত্রায়ন। তাঁদের মধ্যে কেউ শিক্ষক, কেউ সাধারণ, কেউ কেউ রীতিমত অসাধারণ। দেশ ও মানুষের এ সব গল্পের সঙ্গে সঙ্গে বিস্তৃত হয়েছে লেখকের নিজের আরেকটি গল্প- যেটি বিজ্ঞানে তাঁর অপরিসীম আনন্দের গল্প। মার্কিন তথ্যকেন্দ্রের লাইব্রেরিতে বিজ্ঞানের রঙচঙে বই, নিজের বাসার ল্যাবরেটরিতে নানা যন্ত্র তৈরি, কলেজে যাওয়া মাত্র বিজ্ঞানের পত্রিকা বের করা- সব কিছু নিয়ে বিজ্ঞানকে দুর্দান্ত ভাল লাগার গল্প। অন্যদিকে অল্প বয়স থেকেই রাজনৈতিক ঘটনাগুলোকে খুব মনোযোগ দিয়ে যথেষ্ট কাছে থেকেই দেখেছে শৈশবে ও কৈশোর জুড়ে। সেই দেখা সেদিনের চট্টগ্রামের শহুরে ও গ্রামীণ জীবনের অত্যন্ত খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণের পটভূমিতে। সেদিনের প্রত্যেকটি গানের সুর ও কথা এমন ভাবে মনে গেঁথেছে যে এখনো লেখক গাইতে পারেন — ভিখিরির মুখে শোনা, কলের গানে শোনা, রাজনৈতিক সভায় শোনা, অনুষ্ঠানে অথবা বন্ধুদের গলায়, চাটগেঁয়ে, বাংলা, উর্দু, হিন্দি সব ভাষার গান, সেগুলোতেও যেন এক ধারাবাহিক গল্প । সামনে থেকে দেখা ও শোনা চুয়াত্তরের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, হক-ভাষানীর বক্তৃতা, এর কয়েক বছর পর তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ছোট হলঘরে প্রধানমন্ত্রী সোহরোয়ার্দীর ছাত্রদের মাঝে দেয়া বক্তৃতা শোনা, আরো পরে নিজে কলেজের নির্বাচন করা। চট্টগ্রামের ছেলের হঠাৎ করে স্কাউটিঙের সুবাদে দূরপ্রাচ্যে গিয়ে ফিলিপিনো, জাপানি ছেলেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত। এক রকম বিশ্বকেই খুবই কাছে থেকে দেখা বালকের চোখে। এখানে মনে হতে পারে ছাড়া ছাড়া ঘটনা, আসলে কিন্তু বইয়ে একটি উপন্যাসের মতই রসঘন ভাবে তরতর করে এগিয়েছে সব কিছু।
জীবনস্মৃতিতে মানুষ দেশ বিজ্ঞান (২য় খন্ড) প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স ডিসকাউন্ট-পূর্বমূল্য: ৬০০ টাকা ২০১৬ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীমের আত্মজীবনীর এই দ্বিতীয় খন্ডটির শুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইয়ুব খান বিরোধী উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের সময়। এর মধ্যে অপূর্ব এক ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয়- সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আর কার্জন হলে-ঝলোমলো এক শিক্ষা ব্যবস্থার। ছাত্র রাজনীতি, হলে ভিপিগিরি; এরই পর প্রবাসে মুক্ত যুদ্ধ, শিক্ষক জীবন ও নতুন দেশে বিজ্ঞানকে মানুষের কাছে নেবার চেষ্টার কাহিনী তার সমন্ত খুঁটিনাটি নিয়ে। |
আত্মজীবনীটির প্রথম খন্ডের ধারাবাহিকতায় এটিও নিটোল এক উপন্যাসের মতো মানুষ দেশ ও বিজ্ঞানের কাহিনী। কিন্তু এখানে সদ্য তরুণ লেখক স্বাদ পেতে শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপূর্ব ঐতিহ্যের- হলে ও পদার্থবিদ্যা বিভাগে। কিন্তু সময়টি উত্তাল, রাজনীতির পাট পরিবর্তনের পালাটি শুরু হয়ে গেছে। নিজেও জড়িয়ে গেছেন ছাত্র ইউনিয়নের ছাত্র রাজনীতিতে, হলের ভিপি হিসেবে আরো ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন সব কিছু। তাঁর কিন্তু আগাগোড়া দুটি অন্তরঙ্গ জগত- মানুষ ও দেশ এবং বিজ্ঞান, এটি কৈশোর থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এসেছে। বইয়ের বাকি পুরো অংশটির কাহিনী সেই ধারাতেই এগিয়েছে, এই দুই অন্তরঙ্গ জগতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টায়। প্রবাসে এ নিয়ে উপলব্ধি আরো বিস্তার লাভ করেছে–বিশ্বদৃষ্টিতে যেতে পেরেছে, কিন্তু আবার কেন্দ্রীভূত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, তারপর কল্পনা ,পরিকল্পনা, এই নতুন দেশে কী করা যায়, বিশেষ করে বিজ্ঞানকে কীভাবে সবার শিক্ষার মধ্যে নেয়া যায় সেই লক্ষ্যে। চেষ্টাগুলো নেহাতই অন্তরের প্রেরণা থেকে– কিন্তু তারও প্রত্যেকটিতে অত্যন্ত খুঁটিনাটি কাহিনীর অন্ত নেই। কাজেই বরাবরের মতই পাঠক সেগুলোকে অনুসরণ করতে পারবেন উপন্যাস পড়ার আনন্দে ও সেই কাহিনীর কুশিলবদেরকে কাছে থেকে দেখে। আর বরাবরের মতই পশ্চাতপটে থেকে যাচ্ছে একজন চিন্তাশীল দর্শকের চোখে দেশের সমাজ ও রাজনীতির অভাবনীয় সব উথাল পাতাল।
সত্যেন্দ্রনাথ বসু:
|
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু আমাদের গর্ব। তাঁর নাম দেয়া রোমন কণিকার তাঁর প্রতি মৌলিক তন্তু বোস-আইনস্টাইন থিওরি এখনো বিজ্ঞান চর্চার নতুন নতুন আবিস্কার ঘটাচ্ছে তাঁর বিখ্যাত আবিস্কারটি সহ তাঁর জীবন ও কাজের সংক্রান্ত পরিচয় এখানে রয়েছে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর জীবনের। |
এখানে লেখক বলেছেন ‘ সব সময় ভাবতেই রোমাঞ্চিত হয়েছি যে আমাদের দেশের নয় শুধু, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের, আমার বিভাগের একজন শিক্ষকের নাম সরা দুনিয়ার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, পদার্থবিদ্যার ছাত্ররা যুগ যুগ ধরে পড়ছে । যখন পড়ছে তখন হয়তো জানছেনা ‘বোসন কণিকা’ খ্যাত এই বোস লোকটি কোথাকার। তবে আমরা তো জানি তিনি সত্যেন্দ্রনাথ বসু, এই আনন্দ রাখি কোথায়। এই বইটি বসুর ছোটবেলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক হিসেবে বিশ্ববিজ্ঞানে নিজের নাম এঁকে দেয়া, এবং তারপর নানা ক্ষেত্রে নানা অবদান রাখা পর্যন্ত সব কিছু গল্পের মত করে বলা- এমনকি তাঁর সেই বিখ্যাত আবিস্কার বসু সংখ্যায়নও। এ গল্পের অনেকখানি লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষকদের কাছে শুনেছেন- যারা নিজেরা বসুর ছাত্র ছিলেন । বসুর জীবনের শেষের দিকে লেখকের সঙ্গেও তাঁর পত্রালাপ হয়েছে লেখক-সম্পাদিত বিজ্ঞান সাময়িকীর প্রসঙ্গে। লেখকের কাছে তাঁর শেষ চিঠিটি এখানে উদ্ধৃত হয়েছে; নানাদিক থেকে এটি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে চিঠিটি ঢাকা যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
প্রাকৃতিক প্রকাশক: সুবর্ণ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
চোখের সামনে সুন্দর দৃশ্য দেখে ভাবতেও পারবনা যে এর ভেতরে খোপে খোপে কত জীবন-নাট্যের অভিনয় চলছে। ঢুকলে দেখবো এই নাটকও দারুণ উপভোগ্য দৃশ্যটিকে যেভাবে আছে সেভাবে বজায় রাখতে হলে এই নাটককে স্থিতি অবস্থায় রাখা প্রয়োজন। |
প্রাকৃতিক কোন দৃশ্য পছন্দ হলে আমরা বলি ছবির মত সুন্দর দৃশ্য। কিন্তু কোন দৃশ্যপটই ছবির মত নির্জীব নয়- বরং খুবই সজীব সচল, সজীব , জীবজগতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে রত। এই সজীবতা ও কাজের মূল নায়ক দৃশ্যপটির মধ্যে থাকা উদ্ভিদ ও প্রাণীরা।সেখানে তাদের জীবনকাহিনী নিয়েই বই, যার পেছনে রয়েছে বিশেষ এক বিজ্ঞান। দৃশ্যপটটি যতক্ষণ বাইরে থেকে দেখছি ততক্ষণ কবির মত বা শিল্পীর চোখে উপভোগ করতে পারি। কিন্তু ভেতর থেকে উপভোগ করার জন্য সাহায্য করে এই বিজ্ঞান। এই বই হাত ধরে আপনাকে সেখানে নিয়ে যাবে, দেখবেন যেন এক বহু মহলা সৌন্দর্যময় ভবন- যার খোপে খোপে রয়ে্ছে জীবের বৈচিত্র। আবার ওপর থেকে ধীরে ধীরে তার ওপর নেমে আসলে দেখবেন যেন এক প্রাকৃতিক নক্সীকাঁথা বিছানো। সেই কাঁথা অনেকগুলো আলাদা টুকরায় গড়া – যেন নানা রঙের তালির টুকরা। নক্সীপথ দিয়ে এগুলো পরস্পর সংযুক্ত। আসলে এক এক টুকরা হয়তো একটি বৃক্ষ বাগান অথবা ফসলের ক্ষেত, অথবা মরুময় জায়গা; আর পথগুলো সাধারণত ঝোপঝাড় অথবা বৃক্ষসারি। যতক্ষণ সব কিছু সুন্দর কাজ করছে- পথ ধরে প্রাণীরা টুকরা থেকে টুকরায় যাচ্ছে, পানির স্রোত ইত্যাদি স্বাভাবিক প্রবাহগুলো চালু থাকছে।, সেই ভবনের সব খোপ জীবময়, ততক্ষণ নাটক জীবন্ত থাকছে- আমাদের জন্য দৃশ্যপট জ্বলজ্বল করছে। এর ব্যত্যয় হলেই আসে অবক্ষয়, দৃশ্যপটের মৃত্যু।আমরা সেই পরিণতি রোধ করতে পারি।
চিরায়ত ও |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
আমাদের বহু পরিচিত অন্তরঙ্গ যে বিজ্ঞান মহাবিশ্বের সব কিছুকে যন্ত্রের মত প্রতি মুহুর্তের জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে সেটি চিরায়ত পদার্থবিদ্যা। কিন্তু একে আমূল বদলে দিয়েছে গত শতাব্দীর বৈপ্লবিক কিছু তত্ত্ব । সেগুলো আমাদের বোধশক্তিকে চমকে দেয়, কিন্ত এগুলোই সত্য। |
গত প্রায় তিনশ’ বছর ধরে নিউটনীয় বিজ্ঞান বিশ্বকে একটি ঘড়ির মত নিখুঁত যন্ত্রে পরিণত করেছে, যাতে অতীত বা ভবিষ্যতে সব কিছুর অবস্থান, গতি কী তা অংক করে বলে দেয়া যায় আজকের অবস্থা থেকে। যেই যুক্তিকে এটি তা করে তা আমাদের দৈনন্দিন বোধ-বিবেচনার সঙ্গে সুন্দর মিলে যায়। এটি ধ্রুপদী বিজ্ঞান, যে অর্থে ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীত বা শিল্পকলা ধ্রুপদী, অর্থাৎ আমাদের অনুভূতিতে তা চিরায়ত। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পদার্থবিদ্যায় কিছু নতুন বৈপ্লবিক তত্ত্ব এসে একে নাকচ করে দিয়েছে। অবশ্য আমাদের বোধের সামনে থাকা ধরাছোঁয়ার জিনিসগুলোর ক্ষেত্রে যেমন মার্বেল, বল, গাড়ি, রকেট ইত্যাদির চলাচলে চিরায়ত পদার্থবিদ্যা এখনো কার্যকর। তবে খুব দ্রুতগ্রামী, খুবই বিশাল বা খুবই ক্ষুদ্র বিষয়ের বিবেচনার জন্য এই বৈপ্লবিক তত্ত্বগুলোই প্রয়োজন। কোয়ান্টাম তত্ত্ব , আপেক্ষিক তত্ত্ব এসব বৈপ্লবিক তত্ত্ব আমাদের বোধের কাছে ভৌতিক মনে হতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানের কাছে তা একেবারেই যৌক্তিক। কেমন ভাবে ভৌতিক, কেমনভাবে যৌক্তিক তা এই বই গল্পের মত করে তুলে ধরেছে।
পরমাণু ও |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
সব কিছুর মৌলিকতম কণা হিসেবেই পরমাণুর কল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু আধুনিক কালে এসে দেখা গেলো এর ভেতরেও রয়েছে আরো মৌলিক কণিকার আর এক জগত । কীভাবে জানা গেল সেই বিস্তারিত চিত্র? |
আড়াই হাজার বছর ধরে পরমাণু কে সব কিছুর ক্ষুদ্রতম কণা মনে করে আসবে পর তখন বুঝতে পেরেছি এটি মৌলিক নয়, মৌলিক কণিকা তারও ভেতরে এবং বাইরে। পরমাণুর ভেতরের এই চিত্র এবং ওই মৌলিকতার কণিকাগুলোর কাহিনী নিয়েই্ এই বই। যে পরমাণুকেই সে কখনো দেখিনি তার ভেতরে ওই বহুগুণে ক্ষুদ্রতর ব্যাপারগুলো আমরা কীভাবে জানতাম সেটি অনেকটা গোয়েন্দা কাহিনীর মতই চমকপ্রদ। গোয়েন্দা যেভাবে যুক্তিসূত্র গোলমাল হয়ে গেলে অপরাধের এক সম্ভাব্য চিত্র থেকে আরেক চিত্রে চলে যান তেমনি ভাবে নানা বিখ্যাত এক্সপেরিমেন্টের ফলে বিজ্ঞানীদের পরমাণুর চিত্র বারবার বদলাতে হয়েছে,যাতে একে সত্যের আরো কাছাকাছি আনা যায়। এই চমকপ্রদ কাহিনী নিয়েই এই বই। পরমাণুর যে চিত্র আমরা সব জায়গায় আঁকা দেখি, সর্বশেষ এটিও কিন্তু বদলে গেছে কোয়ান্টাম তত্ত্বের কারণে। ভুলে গেলে চলবেনা পরমাণুর একটি অংশ বিশাল এক শক্তির আধার– নিউক্লিয়ার এনার্জি। সেটিকেও বোঝা প্রয়োজন। আর পরমাণুকে যে শেষ পর্যন্ত দেখাও যাচ্ছে সেটিও বা কেমন ভাবে? সহজ উত্তর আছে এই বইতে।
বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন প্রকাশক: সুবর্ণ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন এখন আমাদের অস্থিত্বকে হুমকির সামনে ফেলছে। কিন্তু কীভাবে ধরা পড়লো যে এই সর্বনাশা ঘটনা ঘটছে আমাদের নিজেদেরই কাজের ফলে। আর কীভাবে জানা যাচ্ছে আগামী বছরগুলোতে এটি কোথায় গড়াবে? এর জন্য পেছনের বিজ্ঞানটিকে বোঝা চাই। |
বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের খাঁড়াটি সামনে চলে আসাতে্ এ নিয়ে আন্দোলন, দোষারোপ, দর কষাকষি ইত্যাদির খবরের ভিড়ে এর বিজ্ঞানটুকু অনেক সময় হারিয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরে বিষয়টি আঁচ করেছেন-গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়া হিসেবে। কিন্তু জোরালো সব সাক্ষ্য প্রমাণ সহ সবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার আগে পর্যন্ত কেউ গা করতে চাচ্ছিলোনা। এই সব বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্যকে, ঘটনার ভেতরের ঘটনাকে সহজ করে তুলে ধরার জণ্য এই বই। এখন দেখা যাচ্ছে এই পরিবর্তন এগুচেছ পাগলা ঘোড়ার মত লাফিয়ে লাফিয়ে–একটু পরিবর্তন আরো পরিবর্তন উসকে দিচ্ছে, সেটি আবার উসকে দিচ্ছে আরো বেশি। এই পাগলা ঘোড়াকে যথাসময়ে থামানো না গেলে হয়তো একশ’ বছর পরেই পৃথিবী আর বাসযোগ্য খাকবে না। থামাবার যে উপায়গুলো কখা বলা হচ্ছে তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কী? বিজ্ঞান এখানে কম্পিউটার মডেলের আকারে বলে দিচ্ছে আজ আমরা কী আচরণ করলে কাল কী ঘটবে, ৫০ বছর পর, ১০০ বছর? সেই বিজ্ঞানকে, মডেলকে আপনার ধরা-ছোঁয়ায় আনছে এই বই।
উদঘাটিত ডিএনএ প্রকাশক: সুবর্ণ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
অপেক্ষাকৃত সম্প্রতি আমরা জেনেছি সব জীবের যাবতীয় বৈশিষ্ট লেখা থাকে তার প্রতি কোষে থাকা ডিএনএতে। আজ আমরা সেই ডিএনএ পড়তে পারি। জীবন-রহস্যের অনেকখানি তাই উদঘাটিত। মানুষের এই বিশাল ক্ষমতাকে একেবারে অ আ ক খ এর মত করে বুঝতে দিচ্ছে এই বই। |
প্রশ্নটি বহু হাজার বছর পুরানো- আমরা কেন বাবামা’র মত? উত্তরটি কিন্তু এসে্ছে মাত্র পঁচাত্তর বছর আগে, ডিএনএ নামক অণুর মাধ্যমেই বাবামা’র বৈশিষ্টগুলো সন্তানের কাছে যায়। এটিই বংশানুক্রমে সব জীবের বৈশিষ্ট বহন করে। ডিএনএ এর গঠন কী, কীভাবে তা জীবনের বার্তা লেখে। বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠতম সাফল্যগুলোর অন্যতম এ প্রক্রিয়াগুলোকে একেবারে অক্ষর ও শব্দ গেঁথে গেঁথে কথা সৃষ্টির সারল্য দিয়ে বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করেছে এই বই। জীবনে এই চাবিকাঠিকে বিজ্ঞানীরা কেমন করে ধাপে ধাপে হাতে পেয়েছেন সেটি এক শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনী। শুধু তাই নয় এই ডিএনএ বার্তাকে পড়ার জন্য একে পরিবর্তনের জ্ন্য, এমনটি এক কৃত্রিম ভাবে তৈরির জন্য বিষ্ময়কর সব সক্ষমতা এখন মানু্ষের হাতে, যাকে আমরা জিন কারিগরি বলে জানি। এটি জীববিদ্যা কৃষি ও চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রে একটি দু:সাহসী যুগ পরিবর্তন এনে দিয়ে্ছ। এই কারিগরিই আবার দৈনন্দিন ব্যবহৃত অপরাধ নির্ণয়, পিতৃত্ব নির্ণয়, অভিবাসন ইত্যাদির মত ভিন্ন কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রত্যেকটি প্রক্রিয়া একই সারল্যের সঙ্গে বুঝিয়ে দিচ্ছে এই বইটি, সেই সঙ্গে তার আবিস্কারের কৌশলটিও।
আমরা কীভাবে প্রকাশক: সুবর্ণ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
আমরা কীভাবে চিন্তা করি এই প্রশ্নের জবাব শুধু খুবই সম্প্রতি বিজ্ঞান কিছুটা দিতে পারছে। সে জবাব মস্তিষ্কের স্নায়ুজালের বর্তনীতে-স্মৃতি, স্বপ্ন, কল্পনা, বুদ্ধি, আবেগ সব কিছু নিয়ে।এই বই দেখিয়েছে নিজের চিন্তার কাহিনী নিজের কাছে কেমন অনবদ্য হতে পারে। |
চিন্তার কথা বললে অনেক প্রশ্ন ভিড় করে আসে। চিন্তা জিনিসটি কী? এটি কি মাথার মধ্যেই ঘটে? আমাদের পুরানো স্মৃতিগুলো কোথায় থাকে, সেগুলো যখন আমাদের মনে পড়ে তখন আসলে কোখায় কী ঘটে? এমনি সব প্রশ্নের কোন অন্ত নেই। যা দেখি, যা শুনি সে সবও কেমন করে আমাদের চিন্তার মধ্যে ঢোকে। বিজ্ঞানের জন্যও এই সব প্রশ্ন কঠিন প্রশ্ন, বিশেষ করে যখন স্বপ্ন, কল্পনা, আবেগ ইত্যাদির কথাও আসে। আর সব প্রশ্নের কঠিনতম প্রশ্নটি হলো চেতনা কী- আমি চেতন, এই ব্যাপারটি কেমন করে ঘটে? মস্তিষ্কের কাজের খুঁটিনাটি যত বোঝা গেছে, এবং আমাদের নিজেদের উদ্ভাবিত কম্পিউটারের কাজের সঙ্গে এর তুলনা করা হয়েছে ততই মানুষ নিজের সবচেয়ে বড় সক্ষমতা সেই চিন্তাকে বুঝতে সক্ষম হচ্ছে। এমআরআই এর মত আধুনিক স্ক্যানিং প্রযুক্তি এ কাজে দারুণ সাহায্য করছে। চিন্তাকে নিয়ে চিন্তার এই অসম্ভব কাহিনীটি লেখকের চমকপ্রদ কথকতায় দারুণ সহজ ও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।
আফ্রিকা থেকে
|
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
হঠাৎ হঠাৎ পাওয়া গেছে অতি প্রাচীন মানুষের ফসিল- কখনো খুলি, বা চোয়ালের অংশ মাত্র, কখনো প্ৰায় পুরো কঙ্কালের। ফসিল ও পাথরের হাতিয়ার এবং সব শেষে ডিএনএ’র ভিত্তিতে রচিত হতে পেরেছে মানব বিকাশের কাহিনী।এমন অন্তরঙ্গভাবে বলা কাহিনী যাতে ওই পুরা তত্ত্বের সাক্ষ্য থেকেই তাদের জীবনকে যেন আমরা দেখতে পাই । |
আমরা নিজেরা নিজেদের প্রজাতির নাম দিয়েছি হোমো সেপিয়েন্স বা জ্ঞানী আমরা। এই জ্ঞানী আমাদের বয়স মাত্র দেড় বা দুই লাখ বছর। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে মানুষের অন্তত প্রায় ৫০ বছরের আরো গভীরতর ইতিহাস। এই সব বিজ্ঞানীরা উদঘাটন করে্ছেন পুরাতত্ত্বের অদ্ভুত সব কৌশলে। এতে সামান্য একটু হাড় বা আংশিক কঙ্কাল , বা আজকের নানা মানুষের ডিএনএ থেকে এমন সব খুঁটিনাটি তথ্য নিংড়ে নেয়া যায় যাতে বিস্ময়ের সীমা থাকে না। ফলে শুধু মানুষটি তার চেহারায় ও দেহের পূর্ণ অবয়বেই আমাদের কাজ ধরা দেয়না , বরং স্পষ্ট হয়ে ওঠে তার সক্ষমতা, জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাস ও অভিবাসনের মত আরো অনেক কিছু। ওদের কেউ কেউ আমাদের কাছে এতই জীবন্ত হয়ে ওঠে যে আমরা তাকে লুসি, নারিকোটামের বালক, টুইগি ইত্যাদি নাম দিয়ে তার জীবন কাহিনী অনুসরণের চেষ্টাও করতে পেরেছি। এই অসামান্য বিজ্ঞান কৌশলের খুঁটিনাটিগুলো লেখক, তাঁর ঝরঝরে ভাষার বর্ণনায় এনে মানুষের ইতিহাসকে একটি উপন্যাসের এবং অন্যদিকে একটি গোয়েন্দা কাহিনীর রোমাঞ্চের স্বাদ দিয়েছেন।
মহাবিশ্বের বয়স ও আমাদের মহাজাগতিক শিকড় প্রকাশক: সুবর্ণ ডিসকাউন্ট-পূর্ব মূল্য: ৩০০ টাকা ২০১১ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
পুরো মহাবিশ্বকে একসঙ্গে নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন? এই বই আপনাকে সেই চিন্তায় নিয়ে যাবে- একটি ক্ষুদ্র বিন্দু হিসেবে মহাবিশ্বের জন্ম, বিকাশ, বর্তমান ও ভবিষ্যতে। এর একটি নগণ্য গ্রহের বাসিন্দা হলেও আমরাই পারছি তাকে জানতে। হাজার হলেও এটি আমাদের মহাবিশ্ব। |
আজ কল্পনাতীত ভাবে বড় মহাবিশ্ব – তার কিনারা থেকে আলো আমাদের কা্ছে পৌঁছতেই পারেনা এমনি বড় এটি, এবং ক্রমাগত আরো বড় হচ্ছে।মজার ব্যাপার হচ্ছে যে জিনিসের দিকে তাকিয়ে বিজ্ঞানী এ সব জানতে পেরেছেন তা হলো আমাদের চির পরিচিত বর্ণালী – সাত রঙে গড়া। দূরের তারাপুঞ্জগুলো থেকে আসা আলোর বর্ণালীতে বে নী আ স হ ক লা অর্থাৎ বেগুনী থেকে লাল ; এর পুরোটা লালের দিকে একটু সরে যাওয়াতেই বিজ্ঞানী বুঝতে পেরেছিলেন যে তারাপুঞ্জ দূরে সরে যাচ্ছে, মহাবিশ্ব ক্রমাগত বড় হয়ে যাচ্ছে।এমনি ভাবে নগণ্য পৃথিবীতে বসে আমরা কী দেখে মহাবিশ্ব সম্পর্কে কী জানতে পারলাম সেসবই পুরো বইয়ের অপূর্ব আকর্ষণ| এভাবেই জেনেছি তার জন্ম আর তার পুরো ইতিহাস। এক সময় তাতে তারা গঠিত হয়েছে, নিজের শক্তিতে যা জ্বলে উঠেছে। প্রায় সব পরমাণুর জন্ম এই তারার ভেতরে। কোন কোন বুড়ো তারা ফেটে গিয়ে সব পরমাণু ছড়িয়ে পড়েছে, সেগুলো থেকে আবার নতুন তারা ও তার গ্রহ গঠিত হয়েছে।এমনি ভাবে পৃথিবীরও জন্ম হয়েছে যেখানে সেই পরমাণুগুলো এসেছে, যা পরে মাটি থেকে খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরেও এসেছে। আমাদের শিকড় তাই ওই পুরো মহাবিশ্বে।এটি আমাদের মহাবিশ্ব। এও আমরা দেখবো যে আরো বিশ্ব থাকতে পারে যেগুলো আমাদের নয়। এই বইতে পাবো বহুবিশ্ব-তত্ত্বের কাহিনীও।
চারশত কোটি বছরের পৃথিবী ও প্রাণ প্রকাশক: সুবর্ণ ডিসকাউন্ট-পূর্ব মূল্য: ৪০০ টাকা ২০১১ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
পৃথিবীর ইতিহাস ও প্রাণের ইতিহাস একই সঙ্গে মাখামাখি হয়ে আছে। এই সম্মিলিত ইতিহাসটির মর্মে রয়ে্ছে আধুনিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মাধ্যম এর প্রত্যেকটি পরিবর্তন ও মাইলফলকের ব্যাখ্যা। এই বইয়ে এই পুরো ব্যাপারটি একটি প্রবহমান গল্পের ধারায় চলেছে যার দুই নায়ক পৃথিবী ও প্রাণ। |
আধুনিক বিজ্ঞানের শুরুতে মনে করা হতো পৃথিবী মাত্র ৬ হাজার বছর পুরানো। কিন্তু এ্রখন আমরা জানি সেটি কত বড় ভুল ছিল, কারণ তেজস্ক্রিয় পদার্থের অবক্ষয়ের পরিমান থেকে নিখুঁত ভাবে মেপে দেখা গেছে পৃথিবীর বয়স সাড়ে চারশত কোটি বছর। এই দীর্ঘ সময় এর অনেক পরিবর্তন, অনেক ভাঙ্গা-গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আজ আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলছি। কিন্তু এর থেকে আরো গুরুতর জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীতে বহুবার হয়ে্ছে। অবশ্য সেগুলো ছিল প্রাকৃতিক কারণে, বর্তমানটির মত মানুষের কারণে নয়। যেই গ্রীণ হাউস প্রতিক্রিয়া এখন পৃথিবীকে অবাসযোগ্য করে তুলছে, সেটিই একদিন পৃথিবীর উত্তাপ ধরে রেখে একে প্রাণের জন্য উপযুক্ত করেছিলো। আট দশ কোটি বছর পর পর পৃথিবীময় এমন যা সব বড় বড় দুর্ঘটনা অথবা জলবায়ু পরিবর্তন ঘটেছে যে তাতে প্রাণী জগতের অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে; বহু প্রজাতি, বহু গোষ্ঠী একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তার পর পরই এসেছে প্রাণের নতুন সমারোহ। যে প্রাণের উদ্ভব হয়েছিলো ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া বা আরো সরল কোন নমুনা থেকে, বিবর্তন কী ভাবে তাতে অভাবনীয় বৈচিত্রের বিচ্ছুরণ ঘটাচ্ছে, বিলুপ্তি আর বিচ্ছুরণের পালাবদল হয়েছে , সেই আকর্ষণীয় কাহিনী নিয়ে রুদ্ধশ্বাসে পড়ার মত এই বই।
জীববৈচিত্র ও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রকাশক: সুবর্ণ ডিসকাউন্ট-পূর্ব মূল্য: ৩০০ টাকা ২০১১ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
পৃথিবীতে আমাদের সঙ্গী জীবের রকমফের বিশাল। তার অধিকাংশই আমাদের চোখে পড়ার মত নয়- কীটপতঙ্গ বা আরো ক্ষুদ্র জীব। অনেকগুলো অবশ্য আমাদের অতি কাছের ও প্রিয়। সবই কিন্তু আমাদের অস্তিত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।অথচ আমাদেরই কাজকর্মের ফলশ্রুতিতে প্রতিদিন এদের বড় একটি অংশ চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।এই বইয়ে পুরো ব্যাপারটি এসেছে একটি ট্র্যাজিক মহাকাব্যের রূপ নিয়ে যা অবধারিতভাবে আমাদেরকে ধ্বংস করবে-যদি এখনই কিছু না করি। |
আমাদের কাছে এসে জীববৈচিত্র বিলুপ্ত হবার গতি খুবই বেড়ে গেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে গত ৫০ কোটি বছরে যাবতীয় জীবের পাঁচটি বড় বড় গণবিলুপ্তি ঘটেছে, প্রত্যেকবার প্রাকৃতিক কারণে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এখন আমরা আরেকটি গণবিলুপ্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু তার কারণ প্রাকৃতিক নয়, শুধু আমরা একটি জীব মানুষ বাকি সব জীবকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছি। আজ কাল অনেক বড় বড় বৈজ্ঞানিক সংস্থা ও অনেক স্বেচ্ছাসেবী মানু্ষের নিত্য কাজ হলো কোন্ জীবগুলো দ্রুত বিলুপ্তির দিকে চলে যাচ্ছে তা নির্ণয় করা এবং এদের ওপর নজর রাখা। কেন এত উদ্বেগ? কারণ একটি খিলান ভবনের একটি মাত্র পাথর স্থানচ্যুত হলে ভবনটি যেমন ধ্বসে পড়ে অনেক বিলুপ্ত প্রাণী এভাবে প্রকৃতিকে ধসিয়ে দিয়ে আমাদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমাদের কোন্ কাজগুলো এই মহা বিপর্যয় ঘটাচ্ছে? সেগুলোকে আমরা উন্নয়নের কাজ বলি প্রধানত সেগুলোই- কৃষি, শিল্প, নগরায়ন সবই। দূষণের ফলেও হচ্ছে, প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে অন্য জীবের আবাস ধ্বংস করা, তাদেরকে অতি-ব্যবহার করার মাধ্যমেও হচ্ছে। এদিক থেকে আমাদের সব আচরণকে অনুসন্ধানী কাহিনীর মত অনুসরণ করে বইটি এমন একটি বিপর্যয়ের ছবি আমাদের চো্খের সামনে মেলে ধরেছে যে আমাদের আমাদের কাছে উপলব্ধি ও আশংকার সৃষ্টি না হয়ে উপায় থাকেনা। একে সময়মত থামাবার উপায় আধুনিক বিজ্ঞানটি দিচ্ছে সেভাবে পুরো দুনিয়ার মানুষের এগিয়ে আসার এটিই সময়।
নতুন আবাস |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
মানুষের ইতিহাসে মানুষ সবসময় ভিন্ দেশে গিয়ে বাসা বেঁধেছে এবার ভিন্ গ্রহে যাবার পালা। প্রস্তুতি, বাঁধাছাঁদা চলছে- বহুদিন । জানা গ্রহ-উপগ্রহে ঠাঁই ঠিক করা আছে। অনেক দূরে দূরে আরো ভালো নতুন ঠাঁইয়েরও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, অন্য তারার রাজ্যে। সেখানে যাবার যানবাহন এখনো আমাদের হাতে নেই, কিন্তু চেষ্টা থেমে থাকেনি। এক মহা প্রস্তুতিযজ্ঞ নিয়ে জমজমাট এক কাহিনী। |
মানুষ যে তার গ্রহের বাইরে গিয়ে বাসা বাঁধবে এটি এখন প্রায় অবধারিত। হয়তো যাবে অভিযাত্রার নেশায় অথবা হয়তো পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে বলে। চাঁদে আমরা গিয়েছি, মঙ্গলে আমাদের রোবট প্রতিনিধিরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এখানে আমাদের বাড়িঘর, বিচরণ কেমন হবে এসব মোটামুটি ঠিক করা আছে। সৌরজগতের আরো বাইরের দিকে আমাদের ক্যাসিনা মহাশূন্যযানের অভিযান থেকে মনে হচ্ছে বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা এবং শনির উপগ্রহ এনসেলাডাসেও আমাদের ঠাঁই হতে পারে। বেশিদিন থাকি বা না থাকি এখানে কলোনি বানিয়ে সম্পদ আহরণ তো করতে পারি। তা করতে হলে পৃথিবীর সঙ্গে আসা-যাওয়ার আরো ভালো ব্যবস্থা লাগবে- এমনকি মোটা শক্ত ক্যাবল সংযোগ করে তাতে ঝোলানো লিফটে কম খরচে অতি দ্রুত আসা যাওয়ার চিন্তাও করা হচ্ছে। এছাড়া অনেক দূরে অন্য তারার রাজ্যে আরো ভালো আবাস প্রায়ই দু’একটি করে আবিষ্কার হচ্ছে- পৃথিবীর সঙ্গে বেশ মিল আছে -ওসব তারার এমনই গ্রহ। সমস্যা হলো ওখানে যেতে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের যানবাহন লাগবে, অনেক দ্রুত বেগের – এ নিয়ে আইডিয়া আছে, কাজও চলছে। সবই খুব রোমাঞ্চকর ব্যাপার-কেমন হবে এমন আবাস, এমন পড়শীদের নিয়ে জীবন। বইতে খুঁটিনাটি সব আছে যা রোমাঞ্চকর বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নয, একেবারে নিখাদ বিজ্ঞান।
রাতভর সূর্য
|
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
পৃথিবীর অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু জায়গায় লেখকের ভ্রমণ কাহিনী। প্রত্যেকটি কোন না কোনভাবে রোমাঞ্চের আকর। সবক’টিতে এই রোমাঞ্চের পেছনে আছে বিজ্ঞান। ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভেতরেই বিজ্ঞানটিরও হদিস মেলে। |
উত্তর মেরুর কাছাকাছি সুইডেনের কিরুণা নিশীথ সূর্যের দেশ- তাই সেখানে রাতভর সূর্য। স্লোভেনিয়ার পোস্তইনিয়া গুহা পৃথিবীর বৃহত্তম গুহা, মাটির গভীরে অদ্ভুত এই প্রকৃতিরাজ্য চির অন্ধকার হওয়াতে এখানকার নদীতে মাছগুলোও অন্ধ। সুইজারল্যান্ডে ইউংফ্রাউ ইউখে আল্পস পর্বতের একটি উচ্চ শৃঙ্গ চির বরফ-রেখার অনেক উপরে, অস্ট্রেলিয়ার প্রাণীকূলের অভয়ারণ্য যার সঙ্গে দুনিয়ার আর কোন মহাদেশের প্রাণীর মিল নেই। এই সব প্রকৃতির রোমান্স; কিন্তু আরো কিছু রয়েছে যেখানে ইতিহাসের রোমান্স – সাড়ে তিন হাজার বছর আগের মিশরের বালক ফেরাউন তুত-আন-খামুনের অতি সৌকর্যময় আসবাব, মুকুট ইত্যাদি এখনো নতুনের মতো – আমাদের যে কোন সম্রাটেরও ঈর্ষার কারণ হতে পারে, ইংল্যান্ডের স্টোনহেনজের আরো অনেক প্রাচীন মধ্য প্রস্তর-যুগের মানমন্দির , দু’হাজার বছর আগের রোমান নগর পম্পেই সে সময়ের একটি দিনের একটি মুহূর্তে যেন স্থির হয়ে আছে আগ্নেয়গিরির ভস্মে চাপা পড়ে গিয়ে- ভ্রমণকারীকে সেই দিনটিতে নিয়ে যায় তার চত্বর, চিত্রশোভিত ভবন, সড়ক, রুটির দোকান, স্টেডিয়াম, এমন কি আধখাওয়া নাস্তাসহ টেবিল, সব তেমনি আছে, শুধু মানুষগুলো নেই। হাজার বছর আগের ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া গির্জা, একটি গম্বুজের নিচে এতো বড় খোলা জায়গা আগের কোনো ভবনে নেই। আর কিছু রোমান্স বিজ্ঞানের নিজেরই কাহিনী নিয়ে- ইতালির ফ্লোরেঞ্চে গ্যালিলিওর নিজের হাতে তৈরি বৈজ্ঞানিক সব যন্ত্র ও দূরবীনের জাদুঘর; হল্যান্ডের লাইডেনে দুনিয়ার সর্বনিম্ন উত্তাপ সৃষ্টির ব্যবস্থা ; যুক্তরাস্ট্রের হান্টসভিল আলাবামায় মহাশূন্য ভ্রমণের প্রথম যুগের রকেট, প্রথম এপোলো মহাশূন্যযান। দুর্দান্ত সব জায়গা – সবই সরল, নিটোল অতি মজার ভ্রমণ কাহিনীর আমেজে।
পরমাণু দিয়ে গড়া
|
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
পরমাণুতে পরমাণু যোগ হয়ে অণু সৃষ্টি হয়, আর সেই অণু গড়েছে আমাদের চারিধারের জগতকে ও আমাদেরকেও। রসায়নবিদ নিজেও কৃত্রিম বস্তু গড়েছেন, এক জাদুকরের মত। রসায়নের জাদুর পুরানো ও সর্বাধুনিক সব কৌশলকে খোলাসা করছে এই বই। |
রসায়নের বন্ধনে নানা পরমাণু একত্র না হলে আমাদের দুনিয়াটি কী রকম পানসে ও অসম্ভব হতো তা ভাবাই যায়না। আমরাওতো বেঁচে আছি এরকম অসংখ্য রাসায়নিক ভাঙ্গাগড়ার কারণে। তাকে যদি বুঝতে না পারি তাহলে না জগতকে বুঝবো, না জীবনকে। এ বই সহজ ভাষায় তারই চেষ্টা করেছে। সেই শুরুতে সব কিছুর মধ্যে বিজ্ঞানী ড্যাল্টন যেভাবে পরমাণুর কল্পনা করেছিলেন হোকনা রসায়নের সরল অনুপোতের নিয়ম কিংবা হোকনা প্রাণ রসায়নের অতি বড় ও জটিল অণুর রহস্যভেদে এনএমআর এর মত সর্বাধুনিক যন্ত্রের কৌশল, রসায়নকে প্রাঞ্জল করাই এর উদ্দেশ্য। রসায়নবিদ যখন প্রকৃতির অনুকরণে কিংবা একেবারেই নিজস্ব অভিনব চিন্তায় কৃত্রিম ভাবে অণু গড়ে বস্তু সৃষ্টি করেন তখন অসংখ্য জিনিসের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। যেমন অণুর ত্রিমাত্রিক গঠনের কথা বললে আমাদের বাঁ হাত যেমন ডান হাতের ওপর হুবহু মিলিয়ে রাখা যায় না, তেমনি বাঁহাতি অণু আর ডানহাতি অণুর গোলমালেও বিরাট বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া অনেকদূর গড়ায়- যেমন ওষুধ তৈরিতে। রসায়নে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন দিগন্ত ; ন্যানো রসায়নে যেমন অল্প কিছু পরমাণু দিয়ে অনেক বড় কাজের সূচনা হচ্ছে- যেমন কৃত্রিম উপগ্রহ ও পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত আসা যাওয়ার লিফট যে রজ্জুতে ঝুলতে হবে তাকে অতি শক্ত অতি হালকা করে তৈরি করার কাজে; অথবা কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করার কাজে । এই অবাক করা জগতে পাঠককে স্বাগতম!
বিশ্বভূবনে একবিংশ শতাব্দীর
|
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
একুবিংশ শতাব্দীর যে সব প্রযুক্তি দারুণ অভিনবত্ব সৃষ্টি করছে তার মধ্যে কয়েকটি আমাদের জীবন এমন কি আমাদের অস্তিত্বের স্বরূপকেই চিরতরে বদলে দেবার উপক্রম করছে। তাই শুধু তার দৈনন্দিন কাজের দিকটি নয় প্রযুক্তিগুলোর গভীরতর ঘটনার দিকটিকেও খোলাসা করার চেষ্টা করেছে এই বই। |
‘বিশ্বভূবনে আমি কোথায়’ এ প্রশ্নটির উত্তর একদিক থেকে এই বইয়ে আলোচিত সব প্রযুক্তি থেকে পাওয়া গেলেও, এখানে এটি পৃথিবীর ঠিক কোন জায়গাটিতে আমি এ মুহুর্তে আছি সেটি নির্ণয়ে ব্যবহৃত জিপিএস ব্যবস্থার অধ্যায়টির শিরোনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।আমরা নিজেরা, বিমানের পাইলট; বিজ্ঞানের গবেষক সবাই যার যার গন্তব্যে পৌঁছতে এই জিপিএস প্রযুক্তি এখন সহজেই অহরহ ব্যবহার করছি বটে কিন্তু এর পেছনে আছে বিরাট আয়োজন-মহাকাশে বেশ কিন্তু উপগ্রহ নিত্য কাজ করে এটি সম্ভব করছে। এই বইয়ের প্রত্যেক প্রযুক্তির জন্যই এভাবে তার বড় ও ব্যাপক ছবিতে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে- প্রায় আঠারোটি প্রযুক্তির। তার মধ্যে কয়েকটি নির্ভর করছে কৃত্রিম বুদ্ধিরমত্তার ওপর যেখানে যন্ত্র নিজের প্রোগ্রাম নিজে তৈরি করে,শিখে শিখে অসম্ভব বুদ্ধির অধিকারী হয়। হয়তো আমাদের জীবন-জীবিকার চিরকালের শ্রম, অভাব-অনটন এসবের চির সমাধান এটি করবে। তেমনি নিজেদের সংশ্লেষিত ডিএনএর মাধ্যমে কৃত্রিম পোকা হয়তো আর এক দু:সাহসী যুগের সূচনা করবে। এমনকি ইন্টারনেট ভিত্তিক ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ও হয়তো তাই করবে। চিরাচরিত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে একটি ‘স্থান’ থেকে জ্ঞানের কথা বলছে, এটি সব পক্ষের আওতায় থাকা একটি নতুন কালচার থেকে জ্ঞানের কথা বলছে। এমনই অভিনব প্রযুক্তিগুলোর থেকে এমনি সব উপলব্ধি এ বই দিচ্ছে।
স্বয়ম্বরার রঙিন পছন্দ প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
প্রাণী জগতের অদ্ভুত সব আচরণের ব্যাখ্যা বিবর্তন তত্ত্ব দিতে পেরেছে। সেগুলো শুধু দারুণ চমকপ্রদ নয়, কৃষির মত উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের ইতিহাসও গড়েছে। জীববিদ্যার বিচিত্র কাহিনী যে কত রসঘন হতে পারে তার বহু নমুনা এ বইয়ে রয়েছে। প্রতিষ্ঠিত কিছু বিজ্ঞানের তত্ত্বের নতুন বিবেচনাও এতে গুরুত্বপূর্ণ; তার মধ্যে রয়েছে পদার্থবিদ্যারও কিছু অদ্ভুত প্রশ্ন। |
প্রাণী জগতে স্ত্রী প্রাণীদের একটি বিশেষ ক্ষমতা আছে, তারাই শুধু যৌন সঙ্গী বেছে নিতে পারে, এদিক থেকে তাদেরকে স্বয়ম্বরা বলা যায়, আর তারা সাধারণত বাহারি, রঙচঙে, চোখে পড়ার মত দৈহিক নানা সম্ভার বা আচরণযুক্ত পুরুষ প্রাণীকেই বেছে নেয়- এক এক প্রাণীর ক্ষেত্রে এক এক রকম। কেন এমন হয়, কেনই বা পছন্দ স্ত্রীর আর রঙচঙে ইত্যাদি হওয়াটি শুধু পুরুষের, সে কাহিনী দারুণ মজার। এমনি চমকপ্রদ কাহিনী হলো মৌচাকে শ্রমিক মৌমাছিরা সবাই কেন স্ত্রী , যারা নিজেদের সন্তান দেয়ার থেকে তাদের একই মায়ের সন্তান বোনদের বড় করতেই সারা জীবন নিয়োজিত করে এবং প্রয়োজনে তাদের জন্য জীবন দেয়। এসব বিজ্ঞানের সৃষ্টিকারদের কারো কারো নিজের কাহিনীও কম দুর্দান্ত নয়। শিম্পাঞ্জির অভিভাবক হিসেবে কোন কোন শিম্পাঞ্জি দলের সঙ্গে সারা জীবন কাটিয়েছেন বিখ্যাত মহিলা বিজ্ঞানী জেইন গুডাল; ওরা যেন ছিল তাঁর একটি বাড়তি পরিবার, যার প্রত্যেক সদস্যের আলাদা চরিত্র, আচার-ব্যবহার, ভালমন্দ তাঁর নিজের সুখ-দু:খের অংশ হয়ে গিয়েছিলো। পাঠকের একবারও মনে হবেনা যে তারা মানুষ নয়। সবগুলো কাহিনীই এভাবে অভিভূত হবার মত।
ঐ আকাশ প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
‘কোনো দিন বলাকারা অত দূরে যেতো কি, ঐ আকাশ না ডাকলে’ জনপ্রিয় গানটির কথায় আকাশের যে ডাক, তাতেই মানুষ সাড়া দিয়েছিলো, আকাশযাত্রার রোমাঞ্চ অনুভব করেছিলো। আজকের অহরহ বিমান ভ্রমণের যুগে সেই রোমাঞ্চ কি শেষ হয়ে গেছে? মোটেই নয়। আধুনিক দূর পাল্লার বিশাল যাত্রীবাহী বিমানের পাইলটের আসনে বসে যাত্রা শুরু থেকে অবতরণ পর্যন্ত পুরো ভ্রমণের প্রত্যেকটি ধাপের বৈজ্ঞানিক চমৎকারিত্ব উপলব্ধি করার জন্যই এই বই। |
বাতাসের চেয়ে এত ভারী একটি জিনিস আকাশে ভাসে কী কৌশলে? ডানার গঠনে কী জাদু আছে সে যথেষ্ট বেগে এর ওপর-নীচ দিয়ে বাতাস গেলে সেটি পুরো বিমানসহ ভেসে থাকতে পারে? ওভাবেই বিমান তৈরি হয়েছে, এভাবেই ওই দীর্ঘ পথে কয়েকশত মানুষ নিরাপদে ও আরামে উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ব্যবস্থা তাতে যোগ করা হয়েছে, যেগুলো দিনের পর দিন একই কাজ করে যেতে পারছে। এর প্রত্যেকটি বিজ্ঞানের মধ্যেই রযেছে আকাশের সেই রোমাঞ্চ। যাত্রার কিছু আগে থেকেই শুরু হয় পাইলট আর কোপাইলটের কাজ- অন্যরা বিমানের প্রত্যেকটি অংশ ভাল করে চেক করে রাখলেও নিজেরা আবার নিয়ন্ত্রণগুলো আবার পরীক্ষা করে নেন, পুরো যাত্রাপথের আবহাওয়ার পূর্বাভাসগুলো জেনে নেন, তারপর রানওয়েতে দৌড় শুরু করেন উড্ডয়নের জন্য। আমরা বইয়ের পাঠক ও যাত্রী হিসেবে লক্ষ্য কররো তাঁদের আর বিমানের কাজ। আকাশে ভেসে ওঠার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ডানার আকৃতি এমন অদ্ভুতভাবে বদলে গেল কেন, কিছুক্ষণ পর আবার আগের মত হয়ে গেলো। ভূমিতে গাড়ি যে রাস্তা ধরে চলে, তাকে জানা ছিল, আকাশে বিমানও যে এ রকম সুনির্দিষ্ট রাস্তা ধরে চলে তাকে তো নয়। যে ইঞ্জিন আকাশে বিমানকে এমন বেগে নিয়ে যাচ্ছে তাও রহস্যে ভরা, নির্ভরযোগ্যতার চূড়ান্ত। পাইলটদের সামনে যে অনেক ক’টা নির্দেশক, মিটার, নিয়ন্ত্রণ , তাও রীতিমত ভিরমি খাওয়ার মত। রাতে যখন ককপিটে বাতি নিভিয়ে দেয়া হয়, কী সুন্দর নানা আলোতে ও পুরো নির্দেশক প্যানেলটি ফুটে ওঠে-এদের প্রত্যেকটির প্রয়োজন কী? গন্তব্যের কা্ছে না আসা পর্যন্ত কম্পিউটার অটোপাইলটের ওপারেই চালাবার আসল দায়িত্ব, কিন্তু যে কোন অতিরিক্ত ঝাঁকুনি, উতালপাতাল ইত্যাদির জন্য, এবং জরুরি অবস্থার জন্য, মানুষ পাইলটকেও সতর্ক থাকতে হয়। তেমনটি কী পরিস্থিতিতে কী ব্যবস্থা হবে? অবশেষে গন্তব্যে অবতরণের পালা- যেটি আরেক কাহিনী। সবকিছু মিলে একটানা এ বই পড়েই ঘটবে আমাদের বৈজ্ঞানিক আকাশ যাত্রা।
প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স |
বইটি পড়ে দেখার র জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
বিজ্ঞানকে দেখতে সব সময় বড় বড় জিনিসের বড় বড় ঘটনার কাছে যেতে হয়না, বড়-ছোট সব কিছুতে বিজ্ঞানের প্রশ্নের আর রহস্যের শেষ নেই। আকা্শে ওড়ার কথা যদি বলি গ্লাইডার, বিমান, হেলিকপ্টার, রকেট এর প্রত্যেকটি বৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট এ বইয়ের একটি প্রধান অংশ। অন্যদিকে এ বই দৈনন্দিন জীবনে অনেকগুলো ছোটছোট ঘটনার মধ্যে খুঁজে পেয়েছে অবাক করা পদার্থবিদ্যা! |
ইঞ্জিনসহ যেমন আকা্শে ওড়া যায় তেমনি ইঞ্জিন ছাড়া অনেকটা ঘুড়ির মতোও আকা্শে ঘুরে বেড়ানো যায়, আবার আকাশে উঠে স্থির দাঁড়িয়েও থাকা যায়, বাতাস-ছাড়া জায়গাতেও ছোটা যায়। কিন্তু এর প্রত্যেকটির জন্য কৌশল যোগায় বিজ্ঞানের ভিন্ন ভিন্ন ভঙ্গি, ভিন্ন ভিন্ন আকাশযানে। তবে বিজ্ঞান আমাদেরকে সব চেয়ে বেশি নাড়া দেয় যখন আমাদের সৃষ্টি করা শব্দে, আলোতে , ছোট ছোট কাজে, অদ্ভুত যে ঘটনাগুলো দেখি তার প্রত্যেকটির সুন্দর ব্যাখ্যা যখন বিজ্ঞান থেকে পাই; তখন মনে হয় ছোট বড় সব রহস্যকে সবার কাছে মেলে ধরার জন্যই রয়েছে বিজ্ঞান জিনিসটি। তারপর আমাদের দেহ, স্বাস্থ্য, অনুভূতির প্রশ্ন উঠলে সেখানে বিজ্ঞান ভিন্ন ভঙ্গিতে আবার রহস্য ভেদ করে; আমরা সব ডানহাতিদের ভিড়ে একটি শিশু জন্মের পর পর থেকেই কেন বাঁহাতি প্রবণতা দেখায়, এবং বাঁহাতি হয়ে ওঠে? তেমন বিষয়কে আমরা ভাবতে বা মানতেই রাজি নই। অথচ বিজ্ঞান বলে দেয় বাঁহাতির মস্তিষ্কের তফাতটুকুর কথা, তার জগতে ওদিকটি এদিক হয়ে যাওয়ার কথা। বইটি মনে হবে পাঁচমিশালি- কিন্তু আসলে রবীন্দ্রনাথের কবিতার ছন্দেই এটি আমাদেরকে নিয়ে যায় ‘আকাশ, আলোক, তনুমন প্রাণের’ জগতে; এর মধ্যে কোনটি কি বাদ-দেয়ার উপায় আছে?
প্রযুক্তি: সনাতন থেকে আধুনিক প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
আধুনিক প্রযুক্তির সুফলগুলো পেতে দারুণ মজা-যেমন পাতলা প্লাজমা টিভির ঝকঝকে রঙিন ছবি, অপটিকাল ফাইবার দিয়েও যার জন্য বিশ্বের সব তথ্য আনা যাচ্ছে। কিন্তু এসব হঠাৎ করে আসেনি; আধুনিকের আগে ছিল সনাতন প্রযুক্তি- তখন তাও কম মজার ছিলনা। ওই মজা থেকে এই মজায় আসার কাহিনী এটি। এ কাহিনী আরো মজা! |
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আধুনিক আসাতে সনাতনকে একেবারে বাদ দেয়া যায়নি। যেমন দেয়াল ঘড়ি বা রেডিয়োর ব্যাটারি বদলাতে হলে খুব সস্তা যে পেন্সিল ব্যাটারিটি কিনে আনি সেটি অতি সনাতন জিংক-কার্বন ব্যাটারি, এখনো এ কাজে সবচেয়ে সাশ্রয়ী। কিন্তু বেশ ভারি কাজের জন্য এ্যালাকলাইন সিলভার অক্সাইড, লিথিয়াম এসব আধুনিক দামী ব্যাটারিই বেশি সাশ্রয়ী।কাজেই জানলে আর্থিক লাভও আছে। আগেকার পেটমোটা টেলিভিশন কেমন করে কাজ করতো আর আজকের পাতলা ছিমছামগুলো কেমন করে তা জানতে পারলে এক রাজ্যের সব বিজ্ঞান সহজে আমাদের কা্ছে পরিস্কার হয়ে যায়। এমনি পদে পদে কত প্রযুক্তির সনাতন দেখেছি, আধুনিক দেখছি– ছাপাখানা, টেলিযোগাযোগ, অণুবীক্ষণ, আরো কত কি। যেভাবে প্রযুক্তি এগোচ্ছে তার সব কিছুতে একেবারে নিশ্চিন্তে থাকা যাচ্ছে না। যেমন রোবট শ্রমিকরা যেভাবে মানুষ শ্রমিকের চাকরি খাচ্ছে সেটি ভয়ের কথা। কিন্তু রোবট যে স্তুপ করা জিনিসের ভেতর একটিকে সহজে খুঁজে তুলে আনতে পারেনা, যা মানুষ অনায়াসে পারে, সে রকম বিষয় আশার কথা। প্রযুক্তির এমন সব বিবেচনা মজারও, আবার ভাবনারও।
বিজ্ঞান: রান্নাঘরে, জাদুঘরে প্রকাশক: সময় প্রকাশন |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
রান্নাঘরে কেউ বিজ্ঞানের খোঁজ করেননা, সাধারণ অর্থে জাদুঘরেও নয়। কিন্তু এই বই দেখিয়েছে- এই উভয়টিতে বিজ্ঞান গিজ গিজ করছে- রান্নাঘরের প্রত্যেকটি ছোট ছোট জিনিস, এমনকি পেঁয়াজ রসুনেও; জাদুঘরে ইতিহাস উন্মোচনে ও মূল্যবান সংরক্ষণে। এমন অপ্রত্যাশিত জায়গায় বিজ্ঞানের এতখানি ঝলকানি পাঠককে অভিভূত করে। |
রান্নাঘরে ঢুকে যদি শুধু বোতলজাত ও টিনজাত খাবারগুলোকে দেখি কেমন করে এ খাবারকে মাসের পর মাস টাটকা রাখা যাচ্ছে তার পেছনে জীববিদ্যার দারুণ সব আবিষ্কারের ভূমিকা দেখবো। একইভাবে শুঁটকি, নোনা ইলিশ ইত্যাদির পেছনেও। দেখবো ভাল রান্নাঘরে শুধু রাঁধুনির হাত থাকে না, রসায়নেরও হাত থাকে; ঘ্রাণং অর্ধ ভোজনং এর মধ্যেও। রান্নাঘরের প্রসঙ্গে মাছ ধরা থেকে মাছ, দুধ থেকে পনির, চায়ের কাপে তুফান কোন কিছুই যেন বাদ যায়নি। দোকান থেকে আসা প্রক্রিয়াকৃত খাবারটি মুখরোচক হতে পারে, কিন্তু এর মধ্যে যা যা বাড়তি জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে তা কতটা নিরাপদ? হাজার হাজার বছরের ইতিহাস উদঘাটিত হয় মাটির উপরে-নীচে, এমনকি পানির তলায় সংরক্ষিত হয়ে যাওয়া সামান্য নিদর্শন থেকে-বিজ্ঞানের অপূর্ব কৌশলে! ও জায়গা যেমন এক রকম জাদুঘর, তেমনি জাদুঘর যে আরো কত বিচিত্র রকমের হতে পারে; আর তাতে পুরানো দিনের বিজ্ঞান ও আধুনিক বিজ্ঞান কেমন অন্তরঙ্গ ভাবে কথা বলতে পারে সেটি অবাক হবার মত।
বৃষ্টি ও বজ্র প্রকাশক: বাংলা একাডেমী |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
মেঘ কেন হয়,বৃষ্টি কেন পড়ে, বিজলি চমকিয়ে বজ্র কেন গর্জায়, এ প্রশ্নগুলোর উত্তর সংক্ষেপে অনেকে জানি। এ্রখানে তেমনভাবে নয় – এক একটি জল বিন্দুকে অনুসরণ করে আমরা বৃষ্টি ও বজ্রের বিজ্ঞানকে বিস্তারিতভাবে দেখতে পাবো। এ যে যান্ত্রিক বর্ণনা মাত্র নয়, তা বুঝি যখন প্রত্যেক অধ্যায়ের ওপরে দেয়া রবীন্দ্রনাথের কবিতার পংক্তি অধ্যায়ের কথাগুলোর সঙ্গে অনেকটা মিলে যায়। |
পানির পিঠের ওপর থেকে হাইজাম্প দেয়া একটি অণু যখন আবার পানিতে ফিরে না গিয়ে মুক্তভাবে আকাশে যায়, তখনিই আমাদের গল্পের শুরু। এরকম অনেক অণু বাতাসে ধূলা আশ্রয়ী হয়ে জমে যখন পানির বিন্দু ও মেঘ গঠন করে তখন কাহিনীও জমে ওঠে। কত রকমের মেঘ!! দেখে মুগ্ধ হই, আর প্রত্যেকটি আলাদা গল্প অনুসরণ করি।এমনকি হাতের কাছের মেঘ কুয়াপারও। মেঘ থেকে শুধু বৃষ্টি ঝরে না, ঝরে শিলা, তুষার, শিশিরও। সেসবের গল্পও কম চমকপ্রদ নয়। তবে সবচেয়ে নাটকীয় হলো বজ্র- তার গর্জন, তার পতন, সেই পতনকালে দুই মেঘের মাঝে এবং মেঘ থেকে ভূমিতে যে বিজলি, তার মধ্যে থাকা ‘পথিকৃত’, ‘ফিরতি আঘাত’ এসব বিদ্যুৎরেখা শুধু আলো চমকানো নয়, বিজ্ঞান চমকানোও বটে।
পরিবেশ ও প্রকাশক: সময় প্রকাশন |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
এক সময় মনে করা হতো দোলাই আর বুড়িগঙ্গা ঢাকাকে ধুয়ে দিচ্ছে। কেউ ভাবেনি তারপর এই নদীকে কে ধুয়ে দেবে। নদীর দূষণ, নদীর বুজে যাওয়া নগরীর পরিবেশকে নষ্ট করেছে একথা যেমন স্পষ্ট , তেমনি পরিবেশ নষ্টের বিজ্ঞানটির আরো অনেকগুলো কারণ আমাদের নগর জীবনের পরতে পরতে আমরা সৃষ্টি করেছি।সেগুলোকে না চিনলে, না দূর করলে এই নগরের এবং আমাদের নিজেদের ফুসফুস, হার্ট, মস্তিষ্ক কিছুই ঠিক থাকবে না। |
নগরের পরতে পরতে মানে এর পানিতে, বাতাসে, ধোঁয়া ছড়ানো গাড়িতে, তেল-কয়লা পোড়া গ্যাসে, বর্জ্যের স্তুপে, জীবদেহে ঢুকে পড়াতে , এমনকি বাজারের প্লাস্টিকের থলেতে দূষণ ছড়াচ্ছে । বইয়ের এক একটি অধ্যায়ে আমরা দেখি এই রকম এক একটি পরতের পরিবেশ দূষণ এবং তার পেছনের বিজ্ঞানটি। আমাদের এক একটি দায়িত্বহীন কাজ কীভাবে কেমন সর্বনাশা কান্ডে গড়াচ্ছে। আর কিছু অধ্যায় অবশ্য আশার বাণী শোনাচ্ছে কীভাবে দুনিয়াজোড়া পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা চলছে – সৌর শক্তি-বায়ু শক্তি চালু করে, কার্বন নিয়ন্ত্রনে সমঝোতা করে, দূষণ বন্ধ করে, সব কিছু পুনর্ব্যবহার করে, বন বাঁচিয়ে, সবুজ নগর সৃষ্টি করে, সবার ওপরে প্রত্যেক নাগরিক সচেতন হয়ে। সব দিক থেকে এই বই আমাদেরকে সচেতন করে, নিজের নগরটাকে ভালবাসতে শেখায়।
ছোট প্রাণ প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
লজ্জাবতী, শুঁয়াপোকা,উইপোকা,ঝিনুক ইত্যাদি অতি ছোট জীবের বিজ্ঞান-তাদের অনুভূতি, সাড়া, খাদ্য কৌশল এমনি সব কিছু নিয়ে। পাখির বিশ্ব ভ্রমণের, পাখির সুর তোলার ভেতরেও এমনি খুবই সৌন্দর্যময় বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের মজা এতে মিশে গেছে গল্পের মজায়। |
নরম ছোট শুঁয়াপোকাকে বাঁচার তাগিদে কত না কৌশল অবলম্বন করতে হয়-ছদ্মবেশ,গা-ভর্তি কাঁটা, ঝাঁঝালো ক্যামিকালস আরো কত কি!এ সব কিছু প্রাকৃতিক ভাবে বংশানুক্রমে সে পেয়ে গেছে। সব প্রাণীই এভাবেই পেয়েছে তাদের বিশেষ বিশেষ সব ক্ষমতাগুলো। তাদের এক একটি আচরণে সেগুলো যখন ধরা পড়ে- যেমন ঝিনুকের খোলা দুটি কিছুতেই খুলতে না দেয়া, লজ্জাবতীকে ছুলেই তার লজ্জা পাওয়া, সব প্রাণী শিশুর জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা, উই পোকা সুড়ঙ্গের মত পথ তৈরি করে তার ভেতর দিয়ে চলা-ইত্যাদিতে, আর আমরা তার বৈজ্ঞানিক কৌশলগুলো বুঝতে পারি, তখন চারদিকের ছোট ছোট অনেক প্রাণ যেন তাদের গল্প আমাদেরকে শোনাতে থাকে।
জল পড়ে প্রকাশক: শোভা প্রকাশ |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
আমাদের একেবারে পরিচিত কিছু জিনিস অথবা আশপাশে লুকিয়ে থাকা টুকিটাকি-গাছের পাতা, খাওয়ার পানি, আকাশের রঙধনু, ঝিঁঝিঁর আওয়াজ, পিপড়ার বাসা, মাকড়সার জাল, মাঠের ঘাস, কর্কের ছিপি-এগুলো বড়রা খেয়াল না করলেও ছোটরা করে, খুঁটিয়ে দেখে। সেভাবে দেখার আনন্দের সঙ্গে বিজ্ঞানের অবাক করা কথার আনন্দ যোগ করে এই বই। |
গ্রামের নীরবতায় বেশি কানে আসে ঝিঁঝিঁর আওয়াজ। এই ঝিঁঝিঁ পোকা কিন্তু গলা সেধে গান গায়না, সামনের দুই পাখার গোড়াকে পরস্পরের সঙ্গে ঘষে ঘষে বেহালার ছড় টানার মত আওয়াজ তোলে।এটি তাই যন্ত্র সঙ্গীত, কণ্ঠ সঙ্গীত নয়। সব পতঙ্গ-সঙ্গীতই এরকম যন্ত্র সঙ্গীত, শরীরের নানা অংশ দিয়ে সৃষ্টি করা। কোনটার উদ্দেশ্য আওয়াজ তোলা, আবার কেউ কেউ অন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়াজটি সৃষ্টি করে- যেমন মশা উড়তে দিয়ে দ্রুত পাখা নাড়াতে। এভাবে পতঙ্গের আওয়াজকে অনুসরণ করে অনেকটা খোলাসা হয়ে যায় পুরো পতঙ্গের রাজ্য। এমনি অনেক সাধারণ ছোট জিনিসের মধ্যে এই বই উন্মুক্ত করে বিচিত্র এক এক বিজ্ঞানের রাজ্য। কখনো বা দেখা দৃশ্যগুলো একটু বড়, যেমন নদীর এঁকে বেঁকে চলা বা পুকুরে নানা জীবের একত্রে থাকা; সেখানেও বিজ্ঞানের কাজগুলো দারুণ উপভোগ্য। এ জানার মজাটি এরপর আমাদের দেখার ভঙ্গিটিই বদলে দিতে পারে।
মাসিক নির্বাচিত রচনার সংকলন সম্পাদক: মুহাম্মদ ইব্রাহীম |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
১৯৬০-২০০০ সময়টিতে প্রকাশিত মাসিক বিজ্ঞান সাময়িকীর সংখ্যাগুলো যেমন সবার জন্য বিজ্ঞানকে মাসে মাসে এনে দিয়েছে, তেমনি ওগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চল্লিশ বছরের কাল পরিক্রমার এক সাক্ষীও বটে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নির্বাচিত হয়েছে এ সংকলনের লেখাগুলো-কোনটি দুর্দান্ত সংবাদ, কোনটি হাসির ছলে বিজ্ঞান, কোনটি মনে দাগ কাটার মত তত্ত্বকথা।
|
বিজ্ঞান যে কত বিচিত্র, কত নানাভাবে উপভোগ্য হতে পারে তারই সব নমুনা যেন হাজির করা এই বইতে। এ খবরটিই ধরা যাক্ – ‘পৃথিবীর সর্বপ্রথম মহাশূন্যযান ভোস্টক (পূর্ব)কে সোভিয়েৎ রাশিয়া থেকে ছুঁড়ে দিয়ে কক্ষে পৌঁছানো হয়েছে-আজ ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল। পৃথিবীর উপগ্রহ স্বরূপ মহাশূন্যযান ভোস্টকের চালক হচ্ছেন একজন রুশ নাগরিক-ফ্লাইট মেজর ইউরি আলেজিয়াভিচ গ্যাগারিন। মস্কো বেতার থেকে প্রচারিত এই ঘোষণা সারা বিশ্বে দারুণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।’ চল্লিশ বছরের বিজ্ঞানের অনেক স্মরণীয় খবর এভাবে সংকলনে এসেছে। আবার ‘কম্পিউটার বিভ্রাট’ নামের হাসির লেখাটি দেখি – কম্পিউটারের ব্যবসায়িক ব্যবহার সবে শুরু হয়েছে সেই ১৯৬৬ সালে। একজন গিন্নী কম্পিউটারের পাঠানো এক ভুতুড়ে বিল বার বার পেতে থাকলেন তাঁর কেনাকাটা করার দোকান থেকে- ‘বেগম সাহেবা, আমাদের হিসেব থেকে দেখা যাচ্ছে যে আমরা আপনার কাছ থেকে ২ ডলার ৯৮ সেন্ট পাওনা আছি।..এটি একটি বিজনেস মেশিন কার্ড, দুমড়ানো বা মোচড়ানো নিষেধ।’ তিনি যতই অস্বীকার করেন এমন কোন পাওনা নেই ততই এটি আসতেই থাকে-অবশেষে টেলিফোনে দোকানের ম্যানেজার মাফ না চাওয়া পর্যন্ত। বিশ্ববিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও অনেক স্বপ্নের কথা, কাজের কথা আছে এ সংকলনে। অনেক আনন্দ-আশা যেন ভিড় করে এসেছে। গল্পের মত পড়ে যাওয়া যায় যে বই, অথচ একটি পুরো যুগের বিজ্ঞান-চিন্তা এতে।
ডাবল হেলিক্স লেখক: জেমস ডি ওয়াটসন প্রকাশক: বাংলা একাডেমী |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
জীবন-রহস্যের বার্তা যে ডিএনএতেই লেখা থাকে তা একসময় জানা হলেও কী ভাবে সেটি হয় তা জানা ছিলনা। সেটি বোঝা সম্ভব হলো ১৯৫৩ সালে ডিএনএ’এর গঠন আবিষ্কৃত হবার মাধ্যমে-একালের একটি সেরা আবিষ্কার। এই গঠনটিতে সূতার মত দুটি অংশ পরস্পরের চারিদিকে পেঁচানো বা হেলিক্স আকৃতিতে থাকে বলে এর আকৃতি ডাবল হেলিক্স। আবিষ্কারকারীদের একজন জেমস ওয়াটসন অদ্ভুত মজার এই বইটি লিখে এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের কাহিনীটি বলেছেন। এখানে ধাপে ধাপে আবিষ্কৃত বিজ্ঞান যেমন চমকপ্রদ, তেমনি চমকপ্রদ আবিষ্কারকারীদের ও সময়ের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাগুলো। |
বয়স বিশের কোঠার শুরুতে থাকতেই আমেরিকান জীববিদ্যার ছাত্র জেমস ওয়াটসন তাঁর পিএইচডি শেষ করে ইউরোপে গিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন ডিএনএ’এর গঠন উদঘাটনের চেষ্টায় সহকর্মী পদার্থবিদ ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই বিষয়ে কাজ করছিলেন লন্ডনের কিংস কলেজে মরিস উইলকিনস ও তাঁর সহকর্মী নারী বিজ্ঞানী রোজানিল্ড ফ্রাঙ্কলিন (রোজি)। কিংসের দু’জনের পদ্ধতি ছিল প্রধানত ডিএনএ’র এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফির ছবি থেকে তার গঠন আন্দাজ করা, আর ক্যামব্রিজের দু’জনের পদ্ধতি অণুর রাসায়নিক মডেল খাড়া করার চেষ্টার মাধ্যমে তা করা। অবশেষে দুই দলের এই দুই পদ্ধতির সমন্বয়ের মাধ্যমেই সাফল্য এলো; তবে বইটি পড়লে বোঝা যায় ব্যাপারটি এমন সোজাসাপটা ছিলনা। এর বৈজ্ঞানিক উদঘাটনগুলো যেমন রীতিমত গোয়েন্দা কাহিনীর মত শ্বাসরুদ্ধকর, তেমনি ওই চারজন এবং এর সঙ্গে জড়িত আরো ক’টি চরিত্রের পরস্পর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও টানাপোড়নের মানবিক গল্প, কখনো দারুণ হাসির, কখনো আড্ডা ও বিনোদনে গা ভাসানো, কখনো আবিষ্কারের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে মতভেদ ও উত্তেজনা। এক কথায় দারুণ উপভোগ্য, যা বিজ্ঞান সাহিত্যে দুর্লভ|
শিক্ষা বিজ্ঞান দর্শন প্রকাশক: মুক্তধারা |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
আমাদের শিক্ষার ও বিজ্ঞান চর্চার ভাষা ও ভঙ্গি কী হবে তা নিয়ে লেখকের কিছু ভাবনার ফসল এই বই। এসব বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এক ক্রান্তিকালীন ভাবনা হলেও প্রসঙ্গ ও সমস্যাগুলো শেষ হয়ে গেছে এমন বলার অবকাশ নেই। বাংলা ভাষার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার সমস্যাগুলো এখনো রয়ে গেছে-পরিভাষা, বই, আন্তর্জাতিকতা সবই। তাছাড়া বিজ্ঞান চর্চার একটি দেশীয় ঐতিহ্য আমরা কি গড়ে তুলতে পেরেছি? |
যদি বাংলা পরিভাষার কথাই ধরি লেখক অনেকটা গভীরে গিয়ে বিষয়টি আলোচনা করেছেন; পারিভাষিক শব্দগুলোকে তৎসম, তদ্ভব, বিদেশী ও দেশি এভাবে নিয়ে সবই ব্যবহার করতে চেয়েছেন।এক্ষেত্রে তৎসম মানে প্রাচীন গ্রীক বা ল্যাটিন ভিত্তিক পরিভাষা-যেমন এটমকে ওভাবেই রেখে দেয়া। তদ্ভব মানে ওই প্রাচীন শব্দকে বাংলার মতো করে নেয়া যেমন আয়ন থেকে আয়নিত।বিদেশি মানে ইংরেজি জার্মান ইত্যাদি ভাষার যে সব শব্দ সবাই ব্যবহার করে তা বাংলায়ও করা যেমন ‘চার্জ’। এর বাইরে যেগুলোর জন্য বিশুদ্ধ বাংলা শব্দকে সুনির্দিষ্ট পরিভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হবে সেগুলো দেশি-যেমন অণু। বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার অন্য সবগুলোদিকও এভাবেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।, যেমন স্কুলে বিজ্ঞান্ শিক্ষার উপকরণ নিয়ে। দর্শনকে যেন বিজ্ঞানের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় মনে না করা হয় তাই আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক দর্শনের অ আ ক খ গুলো বেশ সহজবোধ্য ও উপভোগ্য করে আনা হয়েছে।
ক্ষুদে বিজ্ঞানীর প্রজেক্ট প্রকাশক: মুক্তধারা |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
শিশুদেরকে হাতে কলমে বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত করে এই বই। অনেকগুলো বিজ্ঞানের কাজের কথা এখানে বলা হয়েছে। এর প্রত্যেকটি ওরা সহজে করতে পারে আশপাশের সাধারণ জিনিস দিয়ে, আর বুঝতে পারে তার ভেতরের বিজ্ঞান।
|
ওদের কিছু কিছু কাজ প্রকৃতি আর তাতে জীবজগত নিয়ে। সহজে তারা চিনির বড় দানা তৈরি করতে পারে। শর্করা, তেল, প্রোটিন কোন খাবারে আছে পরীক্ষা করে দেখতে পারে। জীবন্ত জিনিসের মধ্যে পুরানো পাউরুটির ওপর ফাঙ্গাস কেমন করে গজায় তা যেমন দেখতে পারে তেমনি ব্যাঙাচিকে পানিতে রেখে তাকে ব্যাঙে পরিণত হতে দেখে। মনোযোগ দিয়ে এগুলো দেখার সময় তারা চলে যেতে পারে বিজ্ঞানের রাজ্যে, যেমন পারে পুকুরের মধ্যে লক্ষ্য করে বা বাসায় খাবার দিয়ে ডেকে আনা পাখিদের পর্যবেক্ষন করে । একইভাবে তারা নানা কিছুর মাপজোক করতে পারে-মাপার যন্ত্র সহজে নিজেরা বানিয়ে নিয়ে সাধারণ দৈর্ঘ্য, ওজন, গাছের উচ্চতা তো বটেই, এমনকি আবহাওয়ার নানা জিনিসও । রীতিমত জরিপ করার যন্ত্র ও খুব সহজ ক্যামেরা তৈরি করে ফেলতে পারে- শুধু কার্ডবোর্ড, জুতার বাক্সের মত জিনিস দিয়ে। ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞানের সঙ্গে মিতালি পাতাবার এর চেয়ে ভাল উপায় কী হতে পারে?
বিজ্ঞান বর্ণালী প্রকাশক: মুক্তধারা |
বইটি পড়ে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করুন
বইটির পরিচিতি
বর্ণালীর সাতরঙের মত বিজ্ঞানের এক একটি দিক দেখলে তার আলাদা আলাদা সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করবে। তবে সেই সৌন্দর্য দেখার জন্য তার বিজ্ঞানের মর্মটি আমাদের বুঝতে হয় খানিকটা – এই বোঝার কালটিতে অত্যন্ত রসঘনভাবে সাহায্য করছে এই বই । |
বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি দিক বেছে নেয়া হয়ে্ছে এখানো। যেমন অংকের কথা বলতে গিয়ে তার বিভিন্ন দিক সংখ্যা, বিশুদ্ধ গণিত, সম্ভাবনার গণিত ইত্যাদি আলাদা আলাদা লেখায় এসেছে। অত্যন্ত পুরানো ব্যাপার আওয়াজের গোলমাল থেকে শুরু করে অতি আধুনিক লেজার আলো আর সীমাহীন বিদ্যুৎ পরিবাহিতা পর্যন্ত এসেছে। প্রত্যেকটিতে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাটি দেয়া হয়েছে খুব মজা করে। যেমন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ক্যাটালিস্ট বা অণুঘটকের কাজটি ‘রসায়নে ঘটকালী’ নামের লেখায় কীভাবে এসেছে দেখা যাক। পুরানা ধাঁচের বিয়েতে বর আর কনে পক্ষের দেখাই হতো না যদি ঘটক তাদেরকে একত্র করে বিয়ে পাকা করার ব্যবস্থা না করতেন। বিয়ের পর বর ও কনে পক্ষ একই পরিবারে শামিল হলেও ঘটক কিন্তু সেখানে আর থাকেন না, তিনি চলে যান অন্যত্র অন্য বিয়ের আয়োজনে। দুটি ক্যামিক্যালের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে ক্যাটালিস্ট এভাবেই কাজ করে- দুটিকে কাছে এনে বিক্রিয়ার ব্যবস্থা করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজে আর থাকেননা। এভাবে সব লেখায় বিজ্ঞানের কথা অনেক বিস্তারিত, কিন্ত মজা করে বলাটি এর সর্বত্র।